স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জনগণের সামনে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।শনিবার (০৩ অক্টোবর) দলের স্থায়ী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।রোববার (০৪ অক্টোবর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় দলটি। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি দেশে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, গণধর্ষণ বিষয়ে স্থায়ী কমিটির সভায় বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। গত ৯ মাসে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতা ও সদস্যদের এই ধরনের হীন কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত আইন-২০২০ এর বিষয়ে মতামত চেয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পুনরায় চিঠি দিয়েছে। এ বিষয়ে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ইতোপূর্বে গঠিত কমিটির সদস্যবৃন্দ এই কমিটির সদস্য থাকবেন। আগামী ১৬ তারিখের মধ্যে কমিটিকে মতামত সম্পর্কে সুপারিশ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সভায় সম্প্রতি কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমদ আল সাবের আল সাবাহর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে ইতোমধ্যেই বিএনপি নেতৃবৃন্দ শোক বইতে স্বাক্ষর করেছেন এবং বিএনপির পক্ষ থেকে শোকবাণী দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, কুয়েতের নবনির্বাচিত আমিরের কাছে সরাসরি একটি শোকপত্র পাঠানো হবে।
শনিবার (০৩ অক্টোবর) বিকাল ৫টা থেকে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী স্থায়ী কমিটির এই ভার্চ্যুয়াল সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
