সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পণ্য ক্রয়ে দুর্নীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এক হাসপাতালে ৩৭ লাখ টাকার পর্দা কেনা হয়। বালিশ তো হেরে গেছে। বালিশ পর্দার কাছে হেরে গেছে। এই হচ্ছে অবস্থা, চতুর্দিকে লুটপাট। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাবেক অর্থমন্ত্রী ও পরিকল্পনামন্ত্রী মরহুম এম সাইফুর রহমানের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আজকে ব্যাংকগুলো মুখ থুবড়ে পড়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেছেন, হল-মার্ককে আবার সুযোগ দেওয়া হবে। অর্থাৎ লুটেরা লুট করবে এটিই হচ্ছে মূল চরিত্র। এমনভাবে লুট করবে যেন দেশটা একটা ফকিরা দেশে পরিণত হয়।’
প্রয়াতমন্ত্রী সাইফুর রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সাইফুর রহমান দেশপ্রেমিক ছিলেন। তিনি দেশকে ভালোবাসতেন। শুধু নিজেরা লাভবান হওয়ার জন্য বা দলের লোকজনকে লাভবান করার জন্য তিনি নিজের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দেননি। এটি খুব বড় কথা যে, তিনি দেশকে বিক্রি করে দেননি। আজকে সাইফুর রহমানরা থাকলে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হতো না, রূপপুরে আনবিক কেন্দ্রে এভাবে দুর্নীতি তৈরি হতো না।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সরকার কথা বলতে দেয় না। সরকার চায় না সত্য কথা গণমাধ্যমে যাক। আজকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে কারণ তিনি বাইরে থাকলে দেশে লুটপাট চলব না, মানুষের অধিকার নষ্ট করা যাবে না। এদেশের মানুষ অবশ্যই খালেদা জিয়াকে বের করে আনবে। গণতন্ত্রকে মুক্ত করবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ব্যাংকে যতো ঋণ খেলাপি তাদের না ঋণ পরিশোধ না করলেও চলে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেই। তবে কৃষক যদি ঋণের পাঁচ হাজার টাকা ডিফল্ড করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হচ্ছে। এই হচ্ছে অবস্থা। আজ আমরা সবদিক থেকে বিপদগ্রস্ত। তাই দেশের এমন প্রেক্ষাপটে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার রাজনীতি বড় প্রয়োজন।’ দোয়া মাহফিলে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ভাইস চেয়ারম্যান কামাল ইবনে ইউসুফ, শামসুজ্জামান দুদুসহ অন্যরা।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।