প্রকাশ: ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪২
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, ফিলিস্তিন যতদিন মুক্ত এবং স্বাধীন হবে না, ততদিন তাদের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব এবং সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। তিনি বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই মিছিল ত্রাণবাহী ফ্লোটিলায় আক্রমণ, হামলা এবং মানবাধিকারকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে আয়োজিত হয়।
রফিকুল ইসলাম খান বলেন, নিষ্ঠুর ইসরাইলি বাহিনী গাজায় একের পর এক গণহত্যা চালাচ্ছে। এই গণহত্যার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে নারী ও শিশু এবং সাধারণ ফিলিস্তিনি জনগণ। তিনি বলেন, সারা বিশ্বের মানুষ এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে এবং নারীর ওপর নির্যাতন ও শিশু হত্যা রোধের জন্য প্রতিবাদ করছে।
তিনি ত্রাণবাহী জাহাজে হামলার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, গতকাল সেখানে ৫০০ এর বেশি মানবাধিকারকর্মীকে আটক করা হয়েছে। এই কর্মীদের দ্রুত মুক্তি দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। তিনি এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপেরও আহ্বান জানান।
রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণকে সাহায্য ও সমর্থন প্রদানে বিশ্বের মুসলমানদের একতাবদ্ধ হওয়া উচিত। শুধু রাজনৈতিক পর্যায়েই নয়, সাধারণ মানুষকেও মানবিক সহায়তা ও সচেতনতার মাধ্যমে সহযোগিতা করতে হবে।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন শুধুমাত্র প্রতিবাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং আমরা মানবাধিকার রক্ষা এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখবো। মুসলিম বিশ্বের একতা প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি।
মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত মুসল্লি ও অংশগ্রহণকারীরা প্রাসঙ্গিক সমর্থন জানান এবং ফিলিস্তিনের জন্য দোয়া ও সহযোগিতায় একমত প্রকাশ করেন। তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে চাপ সৃষ্টি করার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন।
এই বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামী ফিলিস্তিনের মানুষের প্রতি সংহতি এবং তাদের স্বাধীনতার দাবিকে দৃঢ়ভাবে তুলে ধরেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, তারা মানবাধিকারের লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সরব থাকবেন এবং ফিলিস্তিনিদের পাশে অব্যাহতভাবে দাঁড়াবেন।