তারেক রহমান বললেন, শৃঙ্খলাই হবে বিএনপির শক্তি

তিনি লেখেন, “আমরা চাই তরুণ প্রজন্ম রাজনীতিকে কেবল ক্ষমতার খেলা হিসেবে না দেখে, বরং সবার অংশগ্রহণে গড়ে ওঠা একটি মহৎ ক্ষেত্র হিসেবে দেখুক। এ কারণেই বিএনপি মাঠপর্যায়ে সাংগঠনিক কাঠামো শক্তিশালী করছে, গ্রাম থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতৃত্বের সমন্বয় ঘটাচ্ছে।”

বার্তায় তারেক রহমান উল্লেখ করেন, দলের মধ্যে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে সাত হাজারের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের দায়ে কেউ পদচ্যুত হয়েছেন, আবার অনেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। তিনি বলেন, “শৃঙ্খলা কোনো দুর্বলতা নয়, বরং সেটিই আমাদের শক্তি। নিজেদের সদস্যদের দায়বদ্ধ করার মাধ্যমেই আমরা প্রমাণ করেছি, বিএনপি সততার ব্যাপারে আন্তরিক।”

তারেক রহমান আরও লেখেন, রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বিএনপি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি দাবি করেন, “ক্ষমতাসীনদের কাছে যে মানদণ্ড আমরা দাবি করি, নিজেদেরও একই মানদণ্ডে দাঁড় করাই।”

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জ আলাদা, তাই রাজনৈতিক পদক্ষেপগুলোকেও হতে হবে নতুন চিন্তা-নির্ভর। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে জনগণকে আশার আলো দেখিয়েছিলেন, আর বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার রক্ষায় আপসহীন লড়াই করেছেন। তাদের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতেই বিএনপি নতুন যুগের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, “আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকি এবং জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকি। আমি যেমন আপনাদের ওপর আস্থা রাখি, আপনারাও তেমনি আমার ওপর আস্থা রাখুন। তাহলেই গণতন্ত্রের পথ আরও উজ্জ্বল হবে।”