জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হোক-জামায়াত

জামায়াতে ইসলামী প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অনুরোধ করেছে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধেও তা গ্রহণ করা হোক। রোববার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

বৈঠকে জাতীয় পার্টি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নুরের ওপর হামলার ঘটনা গভীর এবং এর মূল উত্সে যেয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে কাজ করার কারণে জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধেও সমানভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নির্বাচনের আগে নিশ্চিত করতে চাইছেন জামায়াত নেতারা। তিনি বলেন, কিছু দল বলছে নির্বাচিত সরকার এসে বাস্তবায়ন করবে, যা বৈঠকের উদ্দেশ্যের সাথে মিলছে না। তাই আইনি ভিত্তি এবং বাস্তবায়নের মাধ্যমে এখনই রিফর্ম কার্যকর করার দাবি জানানো হয়েছে।

তাহের নির্বাচনের আগে পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, একটি দলের সঙ্গে বৈঠক করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় প্রধান উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা বিঘ্নিত হয়েছে। জুলাই ঘোষণাও সকলের সঙ্গে সমন্বয় করে করা হয়নি। নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্পষ্টতা নিশ্চিত করা উচিত ছিল।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন একটি পারসেপশন বা ধারণার বিষয়। জুলাই চার্টারের বাস্তবায়ন না করে নির্বাচন হলে তা ভুল সিদ্ধান্ত হবে। সকল প্রধান দলের একমত হওয়া জরুরি এবং বৈষম্য এড়াতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

তাহের উল্লেখ করেন, ৩১টি দল রিফর্মে অংশগ্রহণ করেছিল, যার মধ্যে ২৫টি পারসোনাল রেপ্রেজেন্টেশন চায়। বাম ও ইসলামপন্থী দলও পিআর চায়। নুরের দল ও এবি পার্টি পারসোনাল রেপ্রেজেন্টেশন চাইছে। অধিকাংশ দল জনগণের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চায়।

নতুন নিয়মে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় দখল এবং কালো টাকার বৃদ্ধি এড়াতে নতুন সিস্টেমে নির্বাচন প্রয়োজন। সব দলের অংশগ্রহণ ও সম্মতি নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আয়োজন করা দরকার।

তাহের বলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেবেন না। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে, তবে তা সকলের অংশগ্রহণ ও সম্মতির মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে। তিনি দৃঢ়ভাবে মনে করেন, নতুন প্রস্তাব, আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব।