প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১৭:৯
নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। রোববার (২২ জুন) কমিশনের সচিবালয়ে তারা এই আবেদনপত্র জমা দেয়। নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে দেশের রাজনীতিতে আরও একটি নতুন দলের সংযুক্তি ঘটবে, যা আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নতুন সমীকরণ তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
আবেদনের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন এনসিপির নেতারা। তারা জানান, দলের জন্য প্রতীক হিসেবে শাপলা, মোবাইল অথবা কলমের মধ্যে একটি পেতে চায় তারা। এই প্রতীকগুলোতে দলটি জনগণের প্রতিনিধিত্ব ও আধুনিক রাজনৈতিক চিন্তাধারার প্রতিফলন দেখতে চায় বলেও জানান তারা। তাদের দাবি, প্রতীকের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক গড়ে তোলা সহজ হয়।
দলের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এই সময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, ভবিষ্যতে এনসিপি সরকারের অংশীদার হবে এবং জনগণের স্বার্থে কাজ করবে। তিনি বলেন, “আমরা একটি স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও আধুনিক রাষ্ট্র গঠনে বিশ্বাসী। দেশের মানুষ নতুন বিকল্প চায়, এনসিপি সেই বিকল্প হবে।”
নির্বাচন কমিশন গত ১০ মার্চ রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করা হলেও এনসিপিসহ কয়েকটি দলের আবেদনের ভিত্তিতে সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়ে ২২ জুন করা হয়। এই সময়ের মধ্যে এনসিপি ছাড়াও আরও কিছু নতুন ও ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করেছে বলে জানা গেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন দলগুলোর মধ্যে কেউ কেউ আদর্শিক দিক থেকে ভিন্ন হলেও অনেকেই নির্বাচনী কৌশল বা স্বল্পমেয়াদী লাভের আশায় মাঠে নামছে। এনসিপি নিজেকে জনমুখী ও বিকল্প শক্তি হিসেবে তুলে ধরতে চাইলেও এর গ্রহণযোগ্যতা নির্ভর করবে মাঠপর্যায়ের কর্মসূচি ও নেতৃত্বের উপর।
বর্তমানে বাংলাদেশে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি। এর মধ্যে অনেক দলই নিষ্ক্রিয় বা নামমাত্র উপস্থিতি বজায় রাখে। এ অবস্থায় এনসিপির মতো নতুন দলের আবির্ভাব রাজনীতিতে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে।