প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১২:০
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গত মঙ্গলবার, যেখানে রাজনৈতিক দলগুলো দেশের সামগ্রিক সমস্যা ও সংস্কার নিয়ে আলোচনা করে। তবে এই বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ করেনি। জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বুধবার (১৮ জুন) অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকে অংশ নেবে এবং ইতিবাচক চিন্তাভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভায় বিএনপি, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, এবি পার্টি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং এনসিপি মতবিনিময় করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে দলের প্রতিনিধিদল বৈঠকে অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং বলেন, তারা অংশগ্রহণ করছেন না।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক সূত্রে জানা যায়, জামায়াত মঙ্গলবারের বৈঠকে অংশ না নেয়ার পেছনে প্রধান কারণ হলো ১৩ জুন লন্ডনে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাদের উপেক্ষিত মনে হওয়া। এই প্রতিবাদের অংশ হিসেবে জামায়াত বৈঠকে যোগ দেয়নি।
এ বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে জামায়াতকে কয়েক ঘণ্টা পরে বৈঠকে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। তবে দলটি তখনো অংশগ্রহণ করেনি। পাশাপাশি, জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ কালবেলা অনলাইনকে জানান, তারা আগামী দিনের বৈঠকে অংশগ্রহণের ব্যাপারে ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মাঝে সংলাপের মাধ্যমে একাত্মতা গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে সরকারের সংস্কার ও দেশের স্থিতিশীলতার পথ সুগম করার লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত হলে দেশীয় রাজনৈতিক পরিবেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আশা করা যাচ্ছে।
আগামী বৈঠকে জামায়াতের অংশগ্রহণে জাতীয় ঐকমত্য প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যখন দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণের কথা ভাবছে, তখন ঐকমত্যের মঞ্চে সকলের অংশগ্রহণই দেশকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই বৈঠকগুলো দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে মজবুত করার একটি অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়। আশা করা হচ্ছে, সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক দলের মধ্যে আরও সুসংহত সহযোগিতা গড়ে উঠবে এবং দেশের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হবে।