প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১০:৫৭
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের বহুল প্রত্যাশিত বৈঠকটি আগামী ১৩ জুন সকালে অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এই বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে, বিশেষ করে সামনের নির্বাচন ও রাজনৈতিক সমঝোতার প্রেক্ষাপটে।
মঙ্গলবার লন্ডনে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, এই বৈঠকের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ফরমেট নির্ধারিত নেই। তিনি আরও বলেন, যেহেতু তারেক রহমান বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির শীর্ষ নেতা, তাই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার এই সাক্ষাৎ রাজনৈতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হচ্ছে।
বৈঠকে কী কী আলোচ্য বিষয় থাকবে, সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা না হলেও শফিকুল আলম ইঙ্গিত দেন যে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন নির্বাচন, সাংবিধানিক সংস্কার এবং জুলাই চার্টার নিয়ে দুই নেতার মধ্যে আলোচনা হতে পারে। এসব বিষয় ঘিরে দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রে নতুন গতি আসতে পারে বলেও ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক শুধু বিএনপি বা অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে নয়, বরং দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা ও উত্তেজনা বিরাজ করছে, তা প্রশমনে এই বৈঠক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে তারা মনে করছেন।
অন্যদিকে, তারেক রহমানের সঙ্গে অধ্যাপক ইউনূসের এই প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে, যা অনেকের চোখে প্রতীকি গুরুত্ব বহন করে। দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে আস্থা ও বোঝাপড়া তৈরি হলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা কাটিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানের পথ তৈরি হতে পারে।
এই বৈঠককে কেন্দ্র করে বিএনপির পক্ষ থেকেও কিছু প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি, তবে দলটির অভ্যন্তরে বৈঠককে ঘিরে নানা আলোচনা চলছে।
রাজনৈতিক মহলে অনেকে মনে করছেন, ১৩ জুনের এই বৈঠক হবে বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের সূচনা। এই আলোচনার মাধ্যমে যদি পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তি তৈরি হয়, তবে সেটি দেশের জন্য হবে ইতিবাচক সংকেত।