এসপি তানভীর সালেহীন ইমনকে ডিবি হেফাজতে নিলো, কারণ জানায়নি পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: বুধবার ১২ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০২:১৪ অপরাহ্ন
এসপি তানভীর সালেহীন ইমনকে ডিবি হেফাজতে নিলো, কারণ জানায়নি পুলিশ

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি দল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে রাজশাহীর সারদা বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি থেকে পুলিশ সুপার (এসপি) তানভীর সালেহীন ইমনকে হেফাজতে নেয়। তবে তাকে কেন হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।


রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) সারোয়ার জাহান জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ডিবির একটি টিম এসপি তানভীরকে নিয়ে ঢাকা চলে আসে। তিনি আরও জানান, এসপি তানভীরকে নিয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে তারা কিছু জানাতে পারেননি।


এসপি তানভীর সালেহীন ইমন কিশোরগঞ্জের একজন বাসিন্দা। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকবাল করিমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১০ সালে ২৮তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করেন তানভীর সালেহীন। পুলিশ বাহিনীতে তার কর্মজীবন অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং ২০১৬ সালে আইজিপি ব্যাজ ও ২০১৭ সালে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম) লাভ করেন তিনি।


এসপি তানভীর সালেহীন ইমনকে হেফাজতে নেওয়ার ঘটনাটি পুলিশ বাহিনীর অন্দরে শঙ্কা সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত বিরল এবং তা পুলিশের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন উত্থাপন করছে। 


তবে, তানভীরের হেফাজতের সঙ্গে কোনো ধরনের অপরাধ বা তৎপরতা সম্পর্কিত কোনো তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি। এই পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মন্তব্যও পাওয়া যায়নি। ডিবি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তথ্য জানাতে দেরি হওয়া সংশয় সৃষ্টি করেছে। 


পুলিশের কর্মকর্তাদের মধ্যে এমন ঘটনা সাম্প্রতিককালে ঘটে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, তানভীর সালেহীন ইমনের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ না থাকলেও, ডিবি হেফাজতে নেওয়া নিয়ে তদন্তের দাবি উঠতে পারে।


এসপি তানভীর সালেহীন ইমনের হেফাজতে নেওয়া একটি রাজনৈতিক বিষয় হতে পারে, তবে পুলিশ কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন, তাদের কাছে এখনও এমন কোনো তথ্য নেই। এসপি তানভীরের বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা, তা নিয়ে কোনো নিশ্চিত তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।


এসপি তানভীরের পরিবারের সদস্যরা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তাদের মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা দেখা যাচ্ছে। 


এদিকে, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসপি তানভীরের সঙ্গে কী ঘটছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হচ্ছে এবং শিগগিরই পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে। 


এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা মন্তব্য এবং বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। তবে, এখনও পর্যন্ত পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য আসেনি।