সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের জন্য প্রতিষ্ঠিত "বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়" নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ের ৪৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ৩৯ জন আজও এমপিওভুক্ত হননি। বারবার কাগজপত্র জমা দেওয়া সত্ত্বেও শিক্ষকদের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
২০১৫ সালে স্বীকৃতি পাওয়া এই বিদ্যালয়টি নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে। ২০২০ সালের ৬ আগস্ট এটি দেশের ১২টি বিশেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমপিওভুক্ত হয় এবং তালিকার শীর্ষে স্থান পায়। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমোদনে ৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর তালিকা জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (এনডিডিএফ)-এ পাঠানো হয়। ২০২১ সালে তাদের মধ্যে ৬ জনের এমপিও নিশ্চিত হলেও বাকিরা এখনও অপেক্ষায়।
২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর অবশিষ্ট ৩৯ জনের এমপিও তালিকা পাঠানো হয়। এনডিডিএফ ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে চিঠি পাঠায়, যার ভিত্তিতে ১২ মার্চ ৩৯ জনের কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়। এরপরও ১৭ মে, ৩০ মে এবং ১৯ জুন পুনরায় কাগজপত্র চাওয়া হয় এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা যথাসময়ে সরবরাহ করে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে এখনো তাদের এমপিওভুক্ত করা হয়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী বলেন, "বারবার কাগজপত্র জমা দিয়েও আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। ১২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬টির সকল শিক্ষক-কর্মচারী এমপিওভুক্ত হলেও আমাদের প্রতিষ্ঠানটি কেন পিছিয়ে রাখা হচ্ছে, তা বোধগম্য নয়।"
অবশেষে, গত ২১ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন নির্ধারণের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করা হয়, যা বর্তমানে সংশ্লিষ্ট শাখায় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০০৯ অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটি স্বীকৃত এবং ২০১৯ সালের নতুন নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। তাই দ্রুত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তির দাবি জানানো হয়েছে, যাতে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।