উন্নয়নের নামে দেশের মানুষের সাথে তামাশা হয়েছে : ডা. শফিকুর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
গোলাম রব্বানী, নিজস্ব প্রতিনিধি (দিনাজপুর)
প্রকাশিত: শনিবার ২৫শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৩:৪০ অপরাহ্ন
উন্নয়নের নামে দেশের মানুষের সাথে তামাশা হয়েছে : ডা. শফিকুর রহমান

দিনাজপুরে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ঐতিহাসিক কর্মী সম্মেলনে দলের আমীর ডা. শফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার উন্নয়নের নামে দেশের মানুষের সঙ্গে তামাশা করেছে। তিনি বলেন, “রডের বদলে বাঁশ, সিমেন্টের বদলে ছাই দিয়ে উন্নয়ন দেখিয়েছে। ২৬ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। সাধারণ মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেয়নি এবং জামায়াতের কর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে।”  


শনিবার দিনাজপুর গোর-এ শহীদ ময়দানে অনুষ্ঠিত এ কর্মী সম্মেলনে ডা. শফিক বলেন, “গত ১৫ বছর ধরে জামায়াতের কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি। অত্যাচার আর নির্যাতনে আমাদের নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি।” তিনি আরও বলেন, “একটি দল মনে করে, একমাত্র তারাই দেশকে ভালোবাসে, কিন্তু সাধারণ মানুষের ঘামঝরানো অর্থ বিদেশে পাচার করেছে।”  


জামায়াতের দিনাজপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় সহ-সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হালিম। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মমতাজ উদ্দিন ও মাহাবুবুর রহমান বেলাল।  


ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “বর্তমান সরকার বিভিন্ন সংস্কার উদ্যোগ নিলেও অতীতে যারা জুলুম, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, এবং টেন্ডারবাজি করেছে তাদের তালিকা প্রকাশ করেনি। আমরা সকল অন্যায়ের বিচার চাই। প্রতিটি হত্যার সঠিক বিচার করতে হবে।” তিনি দিনাজপুরের শহীদ রুদ্র সেনকে স্মরণ করে তার ত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।  


সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিসের শূরা সদস্য দেলোয়ার হোসেন, মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি ড. এনামুল হক, সহ-সেক্রেটারি রাজিউর রহমান পলাশ, সাইদুল ইসলাম সৈকত এবং জেলা শূরা সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম।  


বক্তব্যের শেষাংশে ডা. শফিক বলেন, “বৈষম্যহীন শান্তিপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং কোরআনের দাওয়াতের মাধ্যমে দেশের সুশাসন ফিরিয়ে আনতে কাজ করতে হবে।” তিনি ইসলামের শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।  


কর্মী সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা বর্তমান সরকারের দমনমূলক আচরণের নিন্দা জানিয়ে একটি বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেন। অনুষ্ঠানটি এলাকার সাধারণ মানুষদের মধ্যেও আগ্রহ সৃষ্টি করে।  


শেষে বক্তারা ইসলামের আলোকে শৃঙ্খলা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে সম্মেলন সমাপ্ত করেন।