১৫ মাস পর শেষ হলো ইসরাইলের হামলা, শান্তির নীড়ে ফিরছেন গাজাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: রবিবার ১৯শে জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:৪৫ অপরাহ্ন
১৫ মাস পর শেষ হলো ইসরাইলের হামলা, শান্তির নীড়ে ফিরছেন গাজাবাসী

গাজায় সহিংসতার পর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন হাজারো বাস্তুচ্যুত মানুষ। সংঘর্ষের মধ্যে ঘরবাড়ি হারিয়ে এসব মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলেন বিভিন্ন অস্থায়ী ক্যাম্পে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হওয়ায় তারা ধীরে ধীরে নিজেদের ভিটেমাটিতে ফিরে যাচ্ছেন। তবে ফেরা মানেই নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়, বরং সামনে রয়েছে কঠিন এক পুনর্গঠন প্রক্রিয়া।

বাস্তুচ্যুতদের ঘরে ফেরার এই যাত্রা কোনো আনন্দের নয়, বরং অনিশ্চয়তা ও দুঃখে ভরা। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে অনেকেই বলছেন, কোথা থেকে শুরু করবেন তা বুঝতে পারছেন না। ঘরের দেয়াল ধসে গেছে, খাবার ও পানির সঙ্কট রয়েছে। তবুও নিজেদের জন্মভূমিতে ফেরার আকাঙ্ক্ষা তাদের এগিয়ে নিচ্ছে।

গাজার বিভিন্ন অংশে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অনেক পরিবার পলিথিন দিয়ে ঘর বানিয়ে থাকার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আবার নতুন করে জীবন শুরু করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। শিশুদের মুখে আতঙ্কের ছাপ এখনও স্পষ্ট। তারা এখনও যুদ্ধের স্মৃতি ভুলতে পারেনি।

স্থানীয় প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সাহায্যের এই প্রচেষ্টা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, ত্রাণ তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি পুনর্গঠনে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণের পাশাপাশি এলাকায় মানসিক স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া দরকার। কারণ সহিংসতার প্রভাব শুধুমাত্র শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও মানুষকে বিপর্যস্ত করেছে। শিশুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য সময় এবং সঠিক সহায়তা প্রয়োজন।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে এই পুনর্গঠনের জন্য আরও বেশি সহায়তা প্রত্যাশা করছেন গাজার মানুষ। বিশেষত বিদ্যুৎ, পানি ও অন্যান্য জরুরি পরিষেবা চালু করা তাদের প্রধান চাহিদাগুলোর মধ্যে অন্যতম।

মানবিক সাহায্যের পাশাপাশি গাজায় রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও গুরুত্বপূর্ণ