পাকিস্তানের সিন্ধু নদের তলদেশে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন রুপি মূল্যের সোনার মজুত শনাক্ত করেছে ভূতাত্ত্বিক জরিপ। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হিমালয় থেকে সিন্ধু নদের স্রোতে ভেসে আসা সোনার কণা দীর্ঘ সময় ধরে তলদেশে জমা হয়ে এই মজুত তৈরি করেছে, যা ভূতাত্ত্বিক ভাষায় ‘প্লেসার ডিপোজিশন’ নামে পরিচিত।
ইব্রাহিম হাসান মুরাদের মতে, পাঞ্জাবের অ্যাটক জেলার ৩২ কিলোমিটার এলাকায় ৩২.৬ মেট্রিক টন সোনা থাকতে পারে। স্থানীয় জনগণ অনেক বছর ধরে নদী থেকে সোনার কণা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও, ২০২৪ সালে পাঞ্জাব সরকার নদী থেকে সোনা উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অবৈধ খনন কার্যক্রম বন্ধে ১৪৪ ধারা কার্যকর করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরকারের পরিকল্পিত উদ্যোগে এই মজুত থেকে বিশাল অর্থনৈতিক লাভ করা সম্ভব। তবে পরিবেশবিদরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যদি সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করা হয়, তাহলে সোনা উত্তোলনের কার্যক্রম পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সিন্ধু নদ থেকে সোনা উত্তোলনের এই সম্ভাবনা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।