কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের তাণ্ডবে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এসব গ্যাং আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বিশেষ করে তারা এলাকায় ভীতি ও সন্ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব গ্যাং তাদের অপরাধমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে স্থানীয় ছাত্র সংগঠনের মাধ্যমে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলোচিত কিশোর গ্যাংগুলোর মধ্যে রতন গ্রুপ, নয়ন বন্ড ও চয়ন বন্ডের মতো প্রায় ২০টি গ্যাং নগরীতে সক্রিয় রয়েছে। এসব গ্যাং অস্ত্র, মাদক ও অর্থের জোগান পেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে। এলাকাবাসীর দাবি, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাদের ইন্ধনে এরা নানা অপকর্মে জড়িত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক আবু রায়হান জানান, কিশোর গ্যাংয়ের নেপথ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতারা রয়েছেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আলোচনা করছি এবং অস্থিরতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম মিঠু বলেন, আমরা সব সময় আদর্শের রাজনীতি করেছি এবং গ্যাং কালচারকে কখনো সমর্থন করিনি। গত ১৫ বছর ধরে ছাত্রলীগের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্যাং কালচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি আরও জানান, গ্যাং কালচার রুখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে ছাত্রদল প্রস্তুত।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিনুল ইসলাম জানান, কিশোর গ্যাং দমনে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। তিনি বলেন, গ্যাং পরিচালনায় ছাত্রলীগের কোনো নেতার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।
এদিকে, এলাকাবাসী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরও কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছে। তারা বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্যে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এদের অপতৎপরতা বন্ধ না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।