প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৯
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে দীর্ঘ রাজনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার পর, জাতীয় পার্টির নেতা রওশন এরশাদ এখন ক্রমশ গোপনে চলে গেছেন। গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন রাজনৈতিকভাবে সক্রিয়, কিন্তু ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর থেকে তিনি মৌন রয়েছেন।
রওশন এরশাদ শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় গুলশানের বাসায় অবস্থান করছেন। তার কিছু নেতা জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি রাজনীতিতে ফেরার ব্যাপারে ভীত। আন্দোলন চলাকালে তার বক্তব্য নিয়ে কোনো মামলা করা হয় কি না, সেই ভয়ে তিনি কোনো ধরনের মন্তব্য করছেন না। সম্প্রতি ফোনে তার সাথে কথা হলে তিনি জানান, “আমি ভালো নেই, অসুস্থ। বাসায় আছি।” এরপর তিনি কল কেটে দেন।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব কাজী মামুনুর রশীদ বলেন, রওশন এরশাদ রাজনীতিতে আবারও সক্রিয় হবেন কিনা সে বিষয়ে অনিশ্চিত। তবে তিনি আশা করেন যে, সুযোগ পেলে তিনি রাজনীতিতে ফিরে আসবেন। এদিকে, রওশন এরশাদের নামে ময়মনসিংহে একটি মামলা হয়েছে, কিন্তু কাজী মামুনুর দাবি করেন, সেটি হত্যা মামলা নয়।
২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে রওশন এরশাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। তার নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একটি অংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, যদিও তার চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নির্বাচন থেকে সরে যান। ২০২২ সালে রওশন এরশাদকে বিরোধী দলের নেতা পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়, কিন্তু তা সফল হয়নি।
বর্তমানে, রওশন এরশাদ তার ছেলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তার অনুসারীরা আগামী সপ্তাহ থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যদিও ঐক্য প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রয়েছে। রওশন এরশাদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কার্যক্রম সম্পর্কে এখনও ধোঁয়াশা বিরাজ করছে, তবে জাতীয় পার্টির নেতারা আশা করছেন, তিনি ফের সক্রিয় হবেন।