"ফ্যাসিস্ট সরকারের শিক্ষাক্রম বাতিল করে মানবিক ও বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর দাবি"

নিজস্ব প্রতিবেদক
মোস্তাকিম হোসেন, উপজেলা প্রতিনিধি পাঁচবিবি- জয়পুরহাট
প্রকাশিত: শনিবার ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৭:১৪ অপরাহ্ন
"ফ্যাসিস্ট সরকারের শিক্ষাক্রম বাতিল করে মানবিক ও বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর দাবি"

শিক্ষাক্রমের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করিম, বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারী, বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট সরকারের শিক্ষাক্রম বাতিল করে সকল ধর্মের মূল্যবোধ নিশ্চিত করে এমন মানবিক ও বৈজ্ঞানিক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে।” 


আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জয়পুরহাটের আরামনগর এলাকায় আব্বাস আলী খান মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ফজলুল করিম আরও বলেন, “বিগত শাসকরা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে নৈতিকতার অভাব তৈরি করেছেন। বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি, তারা যেন সেই শিক্ষাক্রম বাতিল করে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে শিক্ষা ব্যবস্থা গঠন করেন।”


সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ফজলুর রহমান সাঈদ, সহকারী জেনারেল সেক্রেটারী রবিউল ইসলাম, উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ। 


এই সমাবেশে জেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কিন্ডার গার্টেনের দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। বক্তারা শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষকদের জন্য সরকারিভাবে বেতন-ভাতার দাবিও তুলে ধরেন।


শিক্ষা ব্যবস্থার সংকট নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “শিক্ষকদের প্রাপ্য মর্যাদা নিশ্চিত করা হলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে এবং ছাত্রদের মধ্যে সঠিক মূল্যবোধ গড়ে উঠবে।” 


অধ্যাপক ফজলুল করিমের আহ্বানে একযোগে কাজ করার জন্য শিক্ষকদের মধ্যে একতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “শিক্ষকদের সংগঠন শক্তিশালী করতে হবে এবং নৈতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সবাই মিলে কাজ করতে হবে।”


সমাবেশ শেষে শিক্ষকদের মধ্যে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার ওপর আলোচনা করা হয়। শিক্ষকরা জানান, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য সরকারের কাছে কার্যকর উদ্যোগ আশা করেন। 


এই সমাবেশটি শিক্ষক সমাজের মধ্যে এক নতুন উদ্যম সৃষ্টির পাশাপাশি নৈতিক ও মানবিক শিক্ষার গুরুত্বকে আরও প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।