বিডিআর বিদ্রোহে সাংবাদিক মুন্নী সাহার ভূমিকা নিয়ে নতুন অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: শনিবার ৭ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:২৪ অপরাহ্ন
বিডিআর বিদ্রোহে সাংবাদিক মুন্নী সাহার ভূমিকা নিয়ে নতুন অভিযোগ

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের সময় সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ। তার সাম্প্রতিক ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেছেন, ঐ সময়ের লাইভ রিপোর্টিং, বিশেষ করে সাংবাদিক মুন্নী সাহার রিপোর্টিং বিদ্রোহের প্রসার ঘটাতে সহায়তা করেছে।


ভিডিও বার্তায় মইন ইউ আহমেদ উল্লেখ করেন, "বিডিআর বিদ্রোহের সময় আমাদের কাছে কোনো গোয়েন্দা তথ্য ছিল না। শুধু গুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম এবং সাংবাদিকরা লাইভ রিপোর্ট করছিলেন। মুন্নী সাহা টেলিকাস্টের মাধ্যমে বিদ্রোহীদের ভুল তথ্য ও মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করছিলেন, যা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছিল।" তিনি আরও বলেন, লাইভ রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে বিদ্রোহের খবর ছড়িয়ে পড়তে সহায়তা করেছে এবং এটি বিদ্রোহের প্রসারে ভূমিকা রেখেছে।


মইন ইউ আহমেদ তার ইউটিউব চ্যানেলটি ২৫ আগস্ট খুলেছেন। ২৯ মিনিটের ভিডিও বার্তায় তিনি বিডিআর বিদ্রোহের পটভূমি ও তার সেনাবাহিনীর ভূমিকা তুলে ধরেছেন। তিনি জানান, ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের সাথে অস্ত্র বিতরণ নিয়ে তার কথা হয়। শাকিল আহমেদ অস্ত্রগুলো নিতে রাজি হন, কিন্তু বিদ্রোহ সম্পর্কে তখনও কিছু জানতেন না।


মইন ইউ আহমেদ ভিডিওতে বলেন, "বিকেল ৯টা ৪৭ মিনিটে বিডিআরের ডিজিকে ফোনে পাওয়া যায়। তিনি ভয়াবহ পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। দরবার হলে গুলির শব্দ শোনার পর সৈনিকেরা গন্ডগোল শুরু করে দেয়। এটি সব পরিকল্পনার অংশ ছিল বলে মনে হচ্ছিল।"


এরপর, সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডকে 'অপারেশন রি-স্টোর অর্ডার' নামে যুদ্ধ প্রস্তুতির নির্দেশ দেওয়া হয়।