বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন কোনো মামুলি নির্বাচন নয়। কারণ তার কয়েকমাস পরেই জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে একটি রিহার্সেল।
আর এই রিহার্সেলের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হবে, আগামী দিনে শেখ হাসিনা দেশ শাসন করবেন কী করবেন না! আগামীতে তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন কী থাকবেন না। সেটা প্রমাণ করার জন্যই আজ এই নির্বাচনের গুরুত্ব আপনাদের (দলীয় নেতাকর্মীদের) অনুধাবন করতে হবে এবং আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, সিটি নির্বাচনের কয়েকমাস পরেই অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন। অনেক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে বিগত দিনের মতো দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করছেন।
তিনি বলেন, গত দুই বছর করোনা আর এক বছরের বেশি সময় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেই মুহূর্তেও বাংলাদেশের মতো একটি আমদানি নির্ভর দেশের অর্থনীতি তিনি সচল রেখেছেন। তার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে, আগামী নির্বাচনে তাকে বিজয়ী করতে হলে, সিটি করপোরেশন নির্বাচন দিয়ে জয়যাত্রা শুরু করতে হবে।
সাবেক এই মন্ত্রী এসময় বলেন, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের সুযোগ্য পুত্র ১৫ আগষ্টে গুলিবিদ্ধ আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে (খোকন সেরনিয়াবাত) ঈদের উপহার হিসেবে আপনাদের সামনে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর সমস্ত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলো যেভাবে এই দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ গ্রহণ করেছেন, তার জন্য দোয়া করেছেন, সমর্থন করেছেন, একইভাবে তার এই উপহারকেও গ্রহণ করবেন। খোকন সেরনিয়াবাতকে নির্বাচিত করার মধ্য দিয়ে, শেখ হাসিনাকে বিজয় উপহার দেবেন। শেখ হাসিনা যেভাবে দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন উপহার দিয়েছেন, আপনারা তার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করে তাকে প্রতিদান দেবেন।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি যে আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমাকে মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছেন এবং পাঠিয়েছেন, আমি তার শতভাগ মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট থাকব। নির্বাচিত হতে পারলে বরিশালকে তিলোত্তমা শহরে রূপ দেওয়া হবে।
এসময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আগামী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহকে মনোনায়ন দিয়ে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদরের ভাই, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাগ্নে আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ আপনাদের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন ভোট ভিক্ষা করতে।
মুখ থুবড়ে পড়া বরিশালকে যদি আধুনিকায়ন করতে চান, তাহলে ১২ জুনের নির্বাচনে জনগণের পবিত্র আমানত মূল্যবান ভোটটি নৌকা মার্কায় খোকন সেরনিয়াবাতকে দেবেন। খোকন সেরনিয়াবাতকে নির্বাচিত করলে বরিশালকে তিলোত্তমা নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কর্নেল অব. জাহিদ ফারুক এমপি তার বক্তব্যে বলেন, বরিশালে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা সবাই মিলে কাজ করব।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আফজালুল করিমের সঞ্চলনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট একে এম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।