রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে মোঃ কুদরত মন্ডল (৪৪) নামে এক মাংস বিক্রেতার বাড়িতে হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারী ও শিশুসহ ৪ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গোয়ালন্দ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের হাউলি কেউটিল গ্রামে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) রাত ৭ টার দিকে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
হামলার অভিযোগে স্হানীয় মোঃ আজিজল (৫৫), মোঃ নাবির (২৫), ফয়সাল (২৫), উরন্ড (২০), সুমন (২০)সহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতেই কুদরত মন্ডল বাদী হয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বুধবার সরেজমিন আলাপকালে কুদরত মন্ডল জানান, গোয়ালন্দ পৌর শহরের জামতলা বাজারে তার মাংসের দোকান রয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সন্ধ্যা সোয়া ৬ টার দিকে শাহিন নামের এক অটোরিকশা চালক তার দোকানের সামনে অটো রাখে। এ সময় চলাচলে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটায় মোটরসাইকেল আরোহী মোঃ আজিজল এসে শাহিনকে একটি থাপ্পর মারে। আমি এর প্রতিবাদ করিলে আজিজল আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। এ ঘটনার জের ধরে রাত ৭ টার দিকে আজিজলের নেতৃত্বে একদল ব্যাক্তি লাঠিসোঠা নিয়ে আমাকে খুঁজতে হাউলি কেউটিল (কৃষ্ণতলা) গ্রামে গিয়ে আমার বাড়ীতে যায়। কিন্তু আমি বাড়িতে না থাকায় তারা অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বাড়িঘরে হামলা চালায়।
এ সময় আমার বড় মেয়ে মায়া আক্তার (২২), ছোট মেয়ে জয়া আক্তার (১৮) ও আমার স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৪০) ঘরের মধ্য থেকে তাদেরকে গালাগাল না করার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু তারা উল্টো আমার বসত ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে আমার দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে মারপিট করে। একপর্যায়ে আজিজল তার হাতে থাকা কাঠের চলা দিয়ে আমার বড় মেয়েকে আঘাত করতে গেলে সেই চলার আঘাত আমার বড় মেয়ের কোলে থাকা আমার দেড় বছরের নাতনী জুনিয়া আক্তার এর মাথায় লেগে রক্তাক্ত জখম হয়।
হামলাকালে তারা ঘরের মধ্যে থাকা বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে অন্তত ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এছাড়া তারা আমার বড় মেয়ের গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের একটি এবং আমার স্ত্রী গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের আরেকটি স্বর্নের চেইন হাতিয়ে নেয়। যার সর্বমোট মূল্য অনুমানিক ২ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা।
একপর্যায়ে আমার স্ত্রী, মেয়ে ও নাতনীর আর্ত চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায় নি। যে কারনে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয় নি।
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি রাকিবুল ইসলাম বলেন, কুদরত মন্ডলের লিখিত অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।