আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাক্কালে ইসরায়েলকে প্রতিশোধমূলক হামলার মাধ্যমে জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে ইরান। গত ২৬ অক্টোবর ইসরায়েলের বিমান হামলার প্রতিক্রিয়ায় তেহরান এই পদক্ষেপের পরিকল্পনা করছে, যা ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আক্রমণের জবাব হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ইসরায়েল গত মাসে ইরানের তিনটি প্রদেশে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরির স্থাপনায় হামলা চালিয়েছিল। এর মধ্যে তিন দফায় বিমান হামলা করা হয়। এখন ইরান বলছে, তারা এই হামলার সুনির্দিষ্ট এবং শোচনীয় প্রতিক্রিয়া দিতে প্রস্তুত। তেহরানের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, ইসরায়েলকে কঠিন পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে, এবং তাদের আক্রমণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান সম্ভবত মার্কিন নির্বাচনের আগে তাদের প্রতিশোধমূলক হামলা চালাবে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই পরিস্থিতি মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে।
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) এর কমান্ডারসহ বিভিন্ন সামরিক নেতাদের হত্যার প্রত্যুত্তর হিসেবে ১ অক্টোবর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল তেহরান। যদিও ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের অধিকাংশ ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত হয়েছে।
এই ঘটনাবলী ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতকে আরও তীব্র করছে, যা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিতে পারে। বিশেষ করে মার্কিন নির্বাচন এবং এর পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে এই উত্তেজনা যে কোনও সময় বিস্ফোরক রূপ নিতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের সামরিক পদক্ষেপের ফলে ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা সৃষ্টি হতে পারে, যা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও জটিল করবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।