
প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০:৪

বালি-সিমেন্ট মাখা এক হাতে, অন্যহাতে সেই মশলা মাখার কড়াই। রাস্তায় রাস্তায় বুজিয়ে দিচ্ছেন খানাখন্দ। কখনও বা রাস্তা থেকেই কুড়িয়ে নিচ্ছেন ইটের টুকরো। ঢেকে দিচ্ছেন পুরসভা বা পূর্ত দফতরের কর্মীদের কাজের নমুনা— বড় বড় গর্ত! যাতে কেউ পড়ে না যান। মুম্বাইয়ের আন্ধেরির (পূর্ব) বিজয়নগরের আশপাশের রাস্তায় এক মধ্যবয়সীর এই পথ-সেবা এখন পরিচিত দৃশ্য।
মিঠুন চক্রবর্ত্তীও এই কাজের জন্য দাদারাওয়ের হাতে সম্মাননা দতুলে দেন
ছেলের মৃত্যুর সুবিচার পেতে আইনি লড়াইও চালাচ্ছেন বিজয়নগরের এই বাসিন্দা। তিনি জানান, পুরসভার বরাত পাওয়া যে বেসরকারি সংস্থা রাস্তা খুঁড়েছিল, সেটির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৪এ (অবহেলাজনিত কারণে মৃত্যু) এবং ৩৩৮ (প্রাণঘাতি আঘাত করা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাস্তা মেরামতির কাজে যুক্ত বম্বে পৌরসংস্থার এক কর্মকর্তাকে এবং এক ইঞ্জিনিয়ারকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে তাঁদের জামিন দেওয়া হয়।

মুম্বাইয়ের রাস্তার খানা-খন্দের জন্য গিনেস বুকে শহরের নাম তোলানোর দাবি বহু দিন ধরেই রয়েছে বাণিজ্যনগরীর বাসিন্দাদের। নবীন লাদে নামে মুম্বইয়ের এক বাসিন্দা একটা ওয়েবসাইটই খুলে ফেলেছেন এ ব্যাপারে। তার অ্যাড্রেস 'www.mumbaipotholes.com'। সরকারি পরিসংখ্যানই জানাচ্ছে, রাস্তার খানা-খন্দের জন্য দুর্ঘটনায় দেশে প্রতি ১০ দিনে মৃত্যু হয় এক জনের। ২০১৭ সালে এই ভাবে ভারতে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৫৯৭ জনের।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব