দুধ ও ফলের জন্য বরাদ্দের টাকা লুট করে দুপুরের খাবারের (মিড ডে মিল) স্কুলের শিশুদের রুটি ও লবণ খেতে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ভারতের উত্তর প্রদেশের কয়েকটি স্কুলে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়ছে দেশটির সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি। শিক্ষার্থীদের পুষ্টি প্রকল্পের আওতায় একাধিক স্কুলে এই লুটপাট হচ্ছে বলে জানায় তারা। তবে বরাদ্দ অনুসারে শিক্ষার্থীদের রুটি, পুষ্টিকর সবজি, ও ভাত দেওয়ার কথা বলে জানায় তারা।
এনডিটিভি জানায়, সরকারি এ প্রকল্পের লক্ষ্য ছিল যেসব দরিদ্র পরিবারের শিশুরা পুষ্টিহীনতায় ভুগছে তাদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা। সে জন্য সরকারি স্কুলের প্রায় ১০০ জন প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখা যায় মির্জাপুর নামের সেখানকার একটি স্কুলে শিশুরা মেঝেতে বসে কেবল লবণ দিয়ে রুটি খাচ্ছে। কিন্তু স্কুলটির ওয়েবসাইটে গেলে দেখা যাবে শিশুদের দুপুরের খাবারের মেন্যুতে সরকারি হিসেব মতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে রুটি, ভাত, সবজি, ফল এবং দুধ। যা তাদের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করবে।
শিশুদের অভিভাবক সাংবাদিকদের জানিয়েছে, পুষ্টি প্রকল্পের আওতায় শিশুদের খাবারের জন্য স্কুলে ভর্তি করা হলেও এখানে রুটি-লবণ বা ভাত-লবণ দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মির্জাপুরের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা অনুরাগ প্যাটেল এনডিটিভিকে জানান, আমি তদন্ত চালিয়েছি এবং ঘটনাটি সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে স্কুলের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক এবং গ্রাম পঞ্চায়েত জড়িত বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি। দু’জনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশ সরকার বলেছে যে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্য জুড়ে দেড় লাখেরও বেশি প্রাথমিক ও মধ্য বিদ্যালয়ে মিড-ডে খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। তারা মনে করছে এই প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি শিশু উপকৃত হবে। মিড-ডে প্রকল্পের নকশা অনুযায়ী, প্রতিদিন প্রতি শিশুকে ন্যূনতম ৪৫০ ক্যালোরি খাবার সরবরাহ করতে হবে। যার মধ্যে ১২ গ্রাম প্রোটিন অবশ্যই থাকতে হবে। বছরে ২০০ দিন প্রতিটি শিশুকে এ খাবারগুলো সরবরাহ করতে হবে। কিন্তু উত্তর প্রদেশের এই স্কুলগুলোতে কোন নিয়মই মেনে চলা হচ্ছে না।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।