যজ্ঞের লকলকে আগুনের শিখা ঘিরে চলছে পরিবারের উন্মত্ত নগ্ন নৃত্য। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেওয়া হবে শিশু বলি। শেষ পর্যন্ত প্রতিবেশীদের খবরে পুলিশ এসে গুলি করে থামিয়েছে এই রোমহর্ষক কাণ্ড। একবিংশ শতাব্দীতে এসে এমন ভয়ঙ্কর কুসংস্কারের সাক্ষী হতে চলেছিল ভারতের আসাম রাজ্যের ওদালগুড়ি। জি নিউজ জানায়, তান্ত্রিকের নির্দেশে শিশু বলির প্রস্তুতি ছিল তখন শেষ পর্যায়ে। হাঁড়িকাঠে সন্তানের গলা কাটতে শান দেওয়া হচ্ছে তরবারিতে। চলছে মন্ত্রোচ্চারণ, যজ্ঞ। যজ্ঞের লকলকে আগুনের শিখা ঘিরে চলে পরিবারের উন্মত্ত নগ্ন নৃত্য। জানা গেছে, ওদালগুড়ি জেলার গণকপাড়া গ্রামের স্থানীয় শিক্ষক যাদব চহরিয়ার বাড়িতে বছর তিনেক আগে ঘাঁটি গাড়েন তান্ত্রিক রমেশ চহরিয়া। তার নির্দেশেই শিশু বলির আয়োজন করে পরিবার।
তান্ত্রিকের মগজধোলাইয়ে বাড়িতে থাকা বাইক ও গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় পরিবারের লোকেরাই। প্রতিবেশীরা এই উন্মত্ত তাণ্ডব আটকানোর চেষ্টা করলে উল্টো তাদের দিকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছুটে আসে ওই পরিবারের লোকজন। বাধ্য হয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা। প্রথমে এই যজ্ঞ বন্ধ করতে আহ্বান জানায় পুলিশ। কিন্তু তাতে কোনো কর্ণপাত করেনি ওই পরিবারের সদস্যরা। শেষ পর্যন্ত নরবলি রুখতে গুলি চালায় পুলিশ। পুলিশের গুলিতে জখম হন গৃহকর্তা যাদব চহরিয়া। এছাড়া ভণ্ড সাধুসহ পরিবারের অন্যদের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।