যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ৬ই মার্চ ২০২৫ ০৪:১৬ অপরাহ্ন
যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানো শুরু

যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠানোর কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে, এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ সরকার চাইছে যে, কোনোভাবেই দেশের নাগরিকদের অসম্মানিত করা না হোক। এ লক্ষ্যে কূটনৈতিক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা চলছে, যাতে অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিকদের সম্মানের সঙ্গে দেশে ফেরত পাঠানো যায়।


এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একত্রিত হয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করছে, যাতে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়। এরই মধ্যে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে এই বিষয়টি নিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছে, যাতে অন্য দেশের নাগরিকদের মতো বাংলাদেশিদেরও হাত-পায়ে শিকল পরিয়ে বা অসম্মানজনকভাবে ফেরত পাঠানো না হয়।


বাংলাদেশ সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানিয়েছে যে, দেশের নাগরিকদের সম্মানজনকভাবে ফেরত পাঠানো হোক, এবং তাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হোক। গত বুধবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন এবং এতে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সচিব মো. জসীম উদ্দিন বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে জানানো হয়, এই বিষয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং অবৈধ বাংলাদেশিদের ফেরত আনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। তবে, যুক্তরাষ্ট্র কতজন অবৈধ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠাবে, সে বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।


এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তিনি নির্বাচিত হলে বিশ্বের সব দেশের অবৈধ নাগরিকদের ফেরত পাঠাবেন। সে অনুযায়ী, বর্তমানে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের ফেরত পাঠানো শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যার মধ্যে বাংলাদেশিও রয়েছে।


বাংলাদেশ সরকার এই কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার পাশাপাশি, দেশের নাগরিকদের সম্মানজনকভাবে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, যে কোনো পরিস্থিতিতে নাগরিকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষা করা হবে।