মোঃ ইলিয়াস আলী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দেশ থেকে পালিয়ে আমার বাসায় আসতে চেয়েছিলেন। তিনি تاکید করে বলেন, "আজ তিনি কোথায়? তিনি আমার বাসায় না এসে দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে গেছেন।"
বিএনপির নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, "আমি মামলার কারণে ১১ বার জেলে গিয়েছি, তবে জমি দখল ও লুটের মামলায় নয়, রাজনীতির মামলায়। ঠাকুরগাঁওয়ে ৭ হাজার বিএনপির নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সারাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার ৬০ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে এবং প্রায় ৮০০ বিএনপি নেতা ও কর্মীকে গুম করা হয়েছে।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, "এবার ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী লীগ পাখির মত গুলি করেছে। অনেকের চোখ অন্ধ হয়ে গেছে এবং অনেকের হাত-পা কেটে ফেলা হয়েছে। আইন ব্যবস্থা বলতে কিছুই ছিল না; তারা যা খুশি তাই করেছে।"
স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের সমালোচনা করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, "বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার অনেকের জমি দখল করে চা বাগান বানানো হয়েছে, এবং ১২টি মন্দিরের ১৪টি প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনায় তারা জড়িত। অথচ দোষ চাপানো হয়েছে বিএনপির ওপর।"
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে তিনি বলেন, "শেখ হাসিনা বলেছিল, আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, আমি কোনদিন দেশ ছেড়ে পালবো না। অথচ এবার তিনি দেশ থেকে পালিয়েছেন। পালাবার পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না, তাই তাড়াতাড়ি একটি হেলিকপ্টার নিয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগ এত খারাপ কাজ করেছে যে তারা দেশে থাকার মতো অবস্থায় নেই। আমাদের নেত্রী পালিয়ে যাননি, জেল খেটেছেন এবং তাকে শারীরিকভাবে নিগৃহীত করা হয়েছে।"
মির্জা ফখরুল অন্তবর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, "এ সরকারের কাজ হলো মানুষের ভোটার অধিকার নিশ্চিত করা। যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং আইন ব্যবস্থাকে ঠিক করা।"
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির আয়োজনে সমিরউদ্দীন স্মৃতি মহাবিদ্যালয় মাঠে সম্প্রীতি ও গণতন্ত্র রক্ষায় "ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা এবং তাঁর দোসরদের বিচারে" দাবীতে বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এ্যাড. সৈয়দ আলম, ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাবেক এমপি জেট মর্তুজা তুলা, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু হায়াত নূরনবী, এবং বিভিন্ন নেতা-কর্মীরাও।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।