বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ, বিদ্যুৎ সঙ্কটে কয়েকটি অঞ্চল

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি , দিনাজপুর
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১৬ পূর্বাহ্ন
বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ, বিদ্যুৎ সঙ্কটে কয়েকটি অঞ্চল

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সোমবার সন্ধ্যায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তৃতীয় ইউনিটে ঘটে যাওয়া ত্রুটির ফলে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, যা থেকে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হত এবং জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হতো।


বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. আবু বক্কর সিদ্দিক সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন যে, বিদ্যুৎকেন্দ্রের তৃতীয় ইউনিটটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। এর আগে, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ও দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ ছিল, যা পুরো কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করেছে।


এখন পর্যন্ত জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উৎপাদিত কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল। চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হারবিন ইন্টারন্যাশনাল গত পাঁচ বছর ধরে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিচালনা করছে এবং আগামী বছর তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে বিদ্যুতের ঘাটতি তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।


বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ত্রুটি সারানোর জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে, যান্ত্রিক ত্রুটি ঠিক করতে সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে, যা বিদ্যুতের সরবরাহে প্রভাব ফেলতে পারে। বিদ্যুৎ বিভাগের প্রকৌশলীরা আশা করছেন, অচিরেই সমস্যার সমাধান হবে এবং বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় সচল হবে।


বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন পর্যায়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার উন্নতি করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সরকার ও বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য সচেষ্ট রয়েছেন।


এছাড়া, বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং যত দ্রুত সম্ভব উৎপাদন পুনরায় শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ধরনের পরিস্থিতি ভবিষ্যতে পুনরাবৃত্তি না হওয়ার জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্যও পরিকল্পনা করা হচ্ছে।