ঠাকুরগাঁওয়ে নিজের বিয়ে গোপন করে ২য় বিয়ে করার পর ওই স্ত্রী স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানাধীন রাজাগাঁও ইউনিয়নের উত্তর বঠিনা গ্রামে ঘটেছে এ ঘটনা।সদর উপজেলার উত্তর বঠিনা গ্রামে চৈতু বর্মনের ছেলে সুজন বর্মন (২৫) ৫ মাস পূর্বে পারিবারিকভাবে স্মৃতি রানী (১৭) নামে একজনকে বিয়ে করে। উভয়ের সাংসারিক জীবন ভালোই চলছিল। পরবর্তীতে প্রেমের টানে সুজন স্মৃতি রানীকে না জানিয়ে লতা রানী নামে আরেক জনকে গোপনে বিয়ে করে। ১১ নভেম্বর আদালতে এফিডেভিটমূলে ২য় বিয়ে করেন লতা রানী(১৮) কে। বিয়ের পর লতা রানী সুজনের বাসায় এসে তার পূর্ব স্ত্রীকে দেখতে পেয়ে ভেঙ্গে পড়ে।
এ নিয়ে উভয পরিবারের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে আপোষ মীমাংষা করার জন্য সুজন রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারস্থ হয়।লতা রানীর পরিবার ও স্বজনদের মতামত ছাড়াই স্থানীয় মাতব্বর বিষয়টা মিমাংসা করে দেওয়ার অজুহাতে সুজনের পরিবারের কাছে ৩৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং লতা রানীকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেয়। আর আদায়কৃত টাকা স্থানীয় কয়েকজন নেতা ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয় নিজেদের মধ্যে।বিষয়টি বুঝতে পেরে লতা রানী তার সিদ্ধান্ত পাল্টায়। তাই পূর্বের ঘটনার ১২দিন পর রোববার স্ত্রীর দাবীতে বিয়ের কাগজপত্র সহ সুজনের বাসায় গিয়ে ওঠে লতা রানী । অবস্থা বেগতিক দেখে সুজন গা ঢাকা দেয়।
এ বিষয়ে সুজনের প্রথম স্ত্রী স্মৃতি রানী বলেন, আমার অনুমতি না নিয়ে সুজন ২য় বিয়ে করে অন্যায় করেছে।আমি এর বিচার চাই।এদিকে দ্বিতীয় স্ত্রী লতা রানী রোববার সন্ধায় জানান, সুজন আমাকে আইনগতভাবে বিয়ে করেছে।কাজেই আমি আমার স্বামীর বাড়িতে এসেছি এবং থাকব।আমাকে সরানোর কথা বলে কেউ টাকা নিয়ে থাকলে আমি বা আমার পরিবারের কেউ দায়ী নই।সুজনের মা বাতাসি রানী জানান, আমার ছেলে যেহেতু ভুল করে ফেলেছে। তাই আমরা সেই বিষয় টা বাড়াবাড়ি না করার জন্য ছেলের মোটর সাইকেল বন্ধক রেখে ৭নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি মুসলিম উদ্দিনকে ৩৯ হাজার টাকা প্রদান করি। কিন্তু মুসলিম সেই টাকা মেয়ের বাবাকে না দিয়ে নিজেরা ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছে।এখন টাকা আপদ আপদই রয়েছ এবং টাকাও ফেরত দিচ্ছে না।
টাকা গ্রহন বিষয়ে মুসলিম উদ্দিন বলেন , টাকা পয়সা লেনদেন কোন হয়নি। এই বিষয় নিয়ে কোথাও বসাও হয়নি। আপনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খাদেমুলের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।রাজাগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খাদেমুল ইসলামের জানান,সুজনের ২য় স্ত্রীকে সরানোর জন্য কেউ লেনদেন করেছে কিনা আমি জানি না।রাজাগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারুল ইসলাম সরকার জানান, বিষয়টা আমি শুনেছি। মেয়েটির পরিবার আমাকে অবহিত করেছে। কিন্তু টাকা পয়সার লেনদেনের বিষয় আমি কিছু জানিনা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।