ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানাধীন জাহানপুর ইউনিয়নে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে দিয়ে পাওনাদারের বিরুদ্ধে করা ধর্ষন চেষ্টা মামলার হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে চান পাওনাদার হেলাল চৌধুরী । পাওনাদার হেলাল চৌধুরী হয়রানী থেকে মুক্তি পেতে সুষ্ঠ তদন্ত চেয়ে আজ শশীভূষণ থানার অফিসার ইন চার্জ বরাবর এই বিষয়ে একটি আবেদন দাখিল করেন। উক্ত দরখাস্ত থেকে জানাযায়, ধর্ষন চেষ্টা মামলার বাদীর স্বামী একজন জেলে। পাওনাদার হেলাল চৌধুরী স্থানীয় পাঁচ কপাট বাজার ঘাটের একজন মৎস্য ব্যবসায়ী। গত ২৪ নভেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে
ধর্ষন চেষ্টা মামলার বাদীর স্বামী, বিবাদী হেলাল চৌধুরীর পাঁচ কপাট মৎস আরদ থেকে ইলিশ মৌসুমে স্বাক্ষী গণের উপস্থিতিতে, সকল শর্ত মানিয়া, স্টাম্পে স্বাক্ষর করে, ১৩ লক্ষ টাকা মাছ ধরার বোটে দাদন হিসেবে গ্রহণ করেছে৷ কিন্তু অনেক দিন ধরে মাছ বা টাকা কিছুই না দেয়ার কারনে উক্ত দেনাদারকে পাওনাদার হেলাল চৌধুরী চাপ প্রয়োগ করেন৷ এতে পাওনা টাকা থেকে রেহাই পেতে উল্টো পাওনাদার হেলাল চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ১২ নভেম্বর ২০২০ ইং তারিখে ভোলার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে ধর্ষন চেষ্টার মামলা করা হয় বলে উক্ত আবেদনে হেলাল চৌধুরী দাবি করেন। যার পিটিশন নং ৭২৮/২০২০৷
হেলাল চৌধুরী উক্ত আবেদনে আরো বলেন, পাওনা টাকা চাওয়ায় আমার বিরুদ্ধে ধর্ষন চেষ্টার মামলা দায়ের করায় সামাজিকভাবে আমি হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি ৷আবেদনে আরো বলা হয়,মামলার বাদী মোবাইল ফোনে প্রতিবেশী এক নারীকে বলছেন, হেলাল চৌধুরী যদি পাওনা টাকা না চান, তাহলে দায়েরকৃত ধর্ষন চেষ্টা মামলা তুলে নিবেন। এই বিষয়ে প্রতিবেদকের হাতে একটি ফোন কল রেকর্ড এসে পৌঁছেছে। এই বিষয়ে শশীভূষন থানার অফিসার ইন চার্জ(তদন্ত) আনোয়ার হোসেন আবেদন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। শশীভূষন থানার অফিসার ইন চার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, সঠিক তদন্ত করে বিজ্ঞ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।