ক্ষেত জুড়ে মাচার উপরে গাছ, তার নীচে ঝুলছে লাউ। দেখলে যে কারো চোখ জুড়িয়ে যাবে। এই লাউ আবাদ করে এখন লাখপতি ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার শাহাপুর-ঘিঘাটি গ্রামের রফিকুল ইসলাম নামের একজন চাষী। যিনি বাড়ির পাশের তিন বিঘা জমিতে লাউ এর আবাদ করেছেন। তার ক্ষেতের উৎপাদিত লাউ যাচ্ছে ঢাকায়। শুধু লাউ নয় বেগুন, টমেটো, ফুল, কুলসহ নানা রকম সবজীর আবাদ করে তিনি এলাকায় এখন কৃষকদের একজন মডেল।আলাপকালে লাউ চাষী রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি লেখাপড়া শেষ করে ঢাকায় চাকুরী করতেন। পরে চাকুরী ছেড়ে বেশ কয়েক বছর বিদেশে ছিলেন। সেখানকার উপার্জিত অর্থ দিয়ে তিনি গ্রামে বেশ কিছু জমি ক্রয় করেন। এরপর বিদেশ থেকে ফিরে এসে আর কোন চাকুরী না খুঁজে কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেন। সেই থেকে তার চাষাবাদ শুরু।
রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ১৫/১৬ বছর ধরে চাষাবাদের সাথে জড়িত। সেই সূত্র ধরে তিনি তিন বিঘা জমিতে গত ভাদ্র মাসে লাউ এর আবাদ শুরু করেন। জমি তৈরি, সার, সেচ, কীটনাশক, মাচা তৈরি, পরিচর্যাসহ অন্যান্য খাতে তার বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। গাছ লাগানোর ১২০ দিনের মাথায় লাউ পাওয়া যায়। তিনি ডায়না জাতের লাউ এর আবাদ করেছেন। প্রতি বিঘা জমি থেকে তিনি ২ লক্ষাধিক টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। সে হিসেবে চাষী রফিকুল ইসলাম তিন বিঘা জমি থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকার লাউ বিক্রি করতে পারবেন। উৎপাদন ব্যয় বাদে তার সাড়ে ৬ লাখ টাকা লাভ হবে, বলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, লাউ সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যসম্মত একটি তরকারি। স্থানীয় বাজারে এর দম কম। কিন্তু ঢাকার বাজারে বেশি। স্থানীয় বাজারে একটি লাউ ২০ থেকে ৩০ টাকা ও ঢাকার বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা একটি লাউ বিক্রি করা যায়। এজন্য তিনি ঢাকার কারওয়ান বাজার, যাত্রাবাড়ী, বাইপেইলসহ অন্যান্য স্থানে লাউ বিক্রি করেন। তার বাড়ির সামনে ট্রাক এসে লাউ গুলি নিয়ে যায়। শিক্ষিত চাষী রফিকুল ইসলাম আরো বলেন, ১৫/১৬ বছর চাষাবাদের সাথে জড়িত শিক্ষিত চাষী বলেন, কৃষি কাজে আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছি এবং আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।