মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন ঘোষণা দিয়েছেন মুজিব বর্ষে বাংলাদেশে কোন গৃহহীন থাকবে না। সেই আলোকে সারাদেশে গৃহহীন পরিবারের গৃহ নির্মান চলছে যা মুজিব শত বর্ষের অবদান।ঠাকুরগাঁও জেলায় অন্যের বাড়ির বারান্দায় থাকা সহায় সম্বলহীন গৃহহীন ৭০ বছরের অসহায় বৃদ্ধা মর্জিনা বেগম। সেই সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় জেলা প্রশাসক ঠাকুরগাঁও এর দৃষ্টি গোচর হয়।এবং ঠাকুরগাঁও জেলার মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে পরিচিত ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম এর নির্দেশে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ছুটে যান সেই বৃদ্ধার খোঁজখবর নিতে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বৃদ্ধা মর্জিনা বেগমকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখার পরপরই তাকে একটি ঘর তৈরি করে দেয়ার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন অনলাইন ও বেশ কয়েকটি জাতীয় গণমাধ্যমে “বৃষ্টিতে ভেঙে গেছে বৃদ্ধার ঘর, দ্বারে দ্বারে ঘুরে হতাশ মর্জিনা” এ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। এদিকে নতুন ঘর তৈরির সংবাদ পেয়ে বৃদ্ধা মর্জিনা অশ্রুসিক্ত চোখে সীমাহীন কৃতজ্ঞতা জানালেন জেলা প্রশাসক ও গণমাধ্যমের কর্মীরা।আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি জানান, এবার বন্যায় আমার মাটির ঘরটি ভেঙ্গে যায়। এ নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি। হতাশা হয়ে ফিরতে হয়েছে। নতুন ঘর পাওয়ার কথা ভাবতেও পারিনি। ঝড়-বৃষ্টির সময় অন্যের বাড়িতে বাড়িতে ঘুরে তাদের বারান্দায় থেকেছি। ভয়ে ঘুমাতে পারতাম না। এখন আর সেই ভয় থাকবে না। আমি বুড়ো মানুষ। অন্তত শান্তিতে ঘুমাতে পারবো।
উল্লেখ্য, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১৯নং বেগুনবাড়ী ইউনিয়নের নতুন পাড়া গ্রামের মর্জিনা বেগমের চলতি বছরের ভারী বর্ষণ আর বন্যায় মাটির তৈরি একমাত্র ঘরটি ভেঙে পড়ে যায়। আপাতত তিনি অন্যের বাড়ির বারান্দায় রাত্রিযাপন করছেন। একটা বিধবা ভাতা কার্ডের জন্য জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছিল তাকে।