ব্যাক্তি মালিকানাধীন ২০ টি বসত বাড়ি দখল করে নিজের ছেলের জন্য খেলার স্টেডিয়াম বানাবে, এমন অভিযোগ উঠেছে সাভারের আশুলিয়ার গাজীরচট এরাকার এম এ মতিন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এমন ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা। দুই ছেলের জন্য খেলার স্টেডিয়াম বানাবে। তাই নিজের বাগান বাড়ির আশ পাশের প্রায় ২০ টি পরিবারের বসত বাড়ি দখল করে নিচ্ছে ভূমি দস্যু এম এ মতিন। ভূমি দস্যু মতিনের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় প্রায় ১৫ টি লিখিত অভিযোগ ও সাধারণ ডায়েরি রয়েছে।
শনিবার (১৪ নবেম্বর) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আশুলিয়ার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার শেষ দিকে উচু প্রাচীর ও চার পাশেই সিসি ক্যামেরায় ঘেরা এম এ মতিনের বাগান বাড়ি। বাগান বাড়ির আশ পাশের বাড়ি গুলোই দখল করে ছেলের জন্য খেলার স্টেডিয়াম বানাবেন তিনি। প্রবাসী আলী আজম অভিযোগ করে বলেন, ২০১২ সালে সাড়ে ৫ শতাংশ জমি কিনে তিনি বাড়ি করে বসবাস করে আসছিলো। ২০১৯ সালের দিকে তারা বেড়াতে গেলে ঘরের দরজা ভেঙ্গে পুরো বাড়ি দখল করে নেয় এম এ মতিন। পুরোনো ভাড়াটিয়া সরিয়ে দিয়ে নতুন ভাড়াটিয়া উঠান। এমন ঘটনায় হতভম্ব হইয়ে আলী আজম ছুটে যান থানায়। সাধারণ ডায়েরিও করেন তিনি। কিন্তু মতিন বাহিনীর হুমকি আর গুলির ভয়ে এখনো আলী আজম তার বাড়িতে ঢুকতে পারছেন না।
প্রবাস জীবনের সব সঞ্চয় দিয়ে কেনা এই বাড়িটাই ছিল আলী আজমের শেষ সম্বল।লতিফ মিয়া জানান, তারা ১০ জন চালক মিলে এখানে জমি কেনেন। কেনার কিছু দিন পরই মতিন দাবী করে তাদের কেনা ওই জমিতে না কি এম এ মতিনের জমি আছে। পরে মতিনের সার্ভেয়ার দিয়ে জমি মেপে দেখা যায় তার জমি নেই। তবু বাড়ি করতে গেলে বাধা দিচ্ছে মতিন বাহিনী। রাতের আধারে নির্মানাধীন রড কেটে ফেলে দিচ্ছে।
কথা হয় অন্য ভুক্তভোগী খোকন কুন্ডের সাথে, মতিনের বাড়ি করার আগে ২০০১ সালে তিনি জমি কিনে বাড়ি করেন। প্রথমে শুনেছেন আশে পাশের মানুষের জমি দখল করেন এমে মতিন। পরে কিছু দিন আগে জানতে পারি আমার বাড়িও দাবী করছে মতিন। প্রতিবাদ করায় আমার বাড়ির কেয়ারটেকারকে মারধর করে বের করে দিয়েছে। থানায় অভিযোগ দিয়েছে। সেই বিচারের আশ্বাসেই আছি। এখানে শেষ নয় আশে পাশে আরও বসত বাড়িতে দখলে ছোবল পড়েছে মতিনের। তার প্রাচীর থেকে কেউ উচ বাড়ি করতে গেলেই বাধা। তার উপর কারো বাড়িতে ময়লা পানি ড্রেন ডুকিয়ে দিয়েছে। ভাড়াটিয়াদের মারধর করে বের করে দিচ্ছে। সে কখনো ব্যাংক কর্মকর্তা, কখনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বড় কর্তা আবার কখনো ব্যবসায়ী বলে মানুষের কাছে পরিচয় দেন।