প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২০, ১৮:৪৫
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নে “মড়ার উপর খাড়ার ঘা” রুপে আঘাত হানতে চলেছে আশাশুনির প্রতাপনগরের পাউবো’র হরিষখালী বেড়ী বাঁধ। বাঁধে ইতিমধ্যে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত ২০ মে মহা প্রলয়ঙ্কারী সুপার সাইক্লোন আম্ফানে ইউনিয়নের পাউবো’র বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। সেই থেকে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর লবণাক্ত বিষাক্ত পানির জোয়ার ভাটার স্রোত দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস ধরে ইউনিয়নবাসীকে নাজেহাল করে চলেছে।
ইউনিয়নের প্লাবিত মানুষ দীর্ঘ দিন ধরে দুঃখ দুর্দশায় জর্জরিত হয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করে আসছে। মানুষের বসত ঘরবাড়ি, রান্নার চুলা-কাঠ, টিউবওয়েল, লেট্রিন ব্যবস্থা, যাতয়াতের পথ জোয়ারের পানিতে ডুবে থাকে। মানুষের দুর্ভোগের সীমা পরিসীমা নেই বললেই চলে। প্রতিনিয়ত জোয়ার ভাটার পানিতে এখনো মানুষের ঘরবাড়ি, জমিজমা নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে। প্রতাপনগর দক্ষিণ অংশের বসতবাড়ির জমি, বিল-মৎস্য ঘেরের জমি জোয়ার ভাটার পানি উঠানামার কারণে গভীর খালের সৃষ্টি হয়েছে ও হচ্ছে।
এই খালের পানির স্রোত প্রচন্ড গতিতে হরিষখালির পূর্বাংশে বেড়িবাঁধে আঘাত করায় ভাঙ্গন ও ধ্বসের সৃষ্টি করেছে। ইতোপূর্বে বাঁধের একতৃতীয়াংশ বিধ্বস্থ হয়েছিল। তখন তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের একনিষ্ঠ ভূমিকায় ও সর্বস্তরের মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধ করা সম্ভব হয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের উপর নতুন করে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে প্লাবন আসলে চরম ভোগান্তি ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসাবে অবতীর্ণ হবে। স্বল্পতম সময়ে ভাঙ্গন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই।দ্রুততার সাথে বাঁধ রক্ষার ব্যবস্থা না নিলে ইউনিয়নবাসীর উপর চরম বিপত্তি নেমে আসতে পারে।