আগামী শুক্রবার হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান শ্মশান দিপালী। এ দিন শ্মশানে আলো জালিয়ে পূজা অর্চনার মধ্যে দিয়ে প্রয়াত প্রিয়জনদের স্মরণ করেন স্বজনরা। প্রতি বারের ন্যায় এবারও এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ বরিশালের আদি মহা শ্মশানে অনুষ্ঠিত হবে এ শ্মশান দিপালী অনুষ্ঠান। আর প্রিয়জনদের সমাধীকে নতুন রূপ দিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন স্বজরা। মহা শ্মশান রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক তমাল মালাকার জানিয়েছেন, দিপালী উৎসবকে কেন্দ্র করে তাদের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে, চলমান করোনা মহামারীর মধ্যে এবারের শ্মশান দিপালী অনুষ্ঠান সংক্ষিপ্ত এবং গণজমায়েত না করার পরার্মর্শ দিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রলয় চিসিম। সেই সাথে দিপালী অনুষ্ঠানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধর্মীয় অনুুষ্ঠান এবং কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বরিশাল নগরীর কাউনিয়াস্থ মহা-শ্মশান ঘুরে দেখা গেছে, প্রিয়জনদের সমাধীকে নতুনভাবে সাজাতে ব্যস্ত রয়েছেন স্বজনরা। কেউবা মাটির সমাধী তৈরী করছেন, কেউ আবার পাকা সমাধীতে রংয়ের আচর দিচ্ছেন। মা-বাবার সমাধিতে সাজ সজ্জার কাজ করতে আসা দুলাল চন্দ্র রায় জানান, বছরের অন্যান্য সময় শ্মশানে এলেও দিপালী উৎসব উপলক্ষে তিনি তার প্রয়াত মা-বাবা, ঠাকুরমার সমাধীতে নতুন রূপে সাজাতে এসেছেন। আরেক স্বজন শিপ্রা মজুমদার বলেন, তিনি তার শ্বশুরের সমাধী তৈরী করতে এসেছেন। যাতে দিপালী উৎসবের দিন সেখানে পূজা অর্চনা করতে পারেন। এদিকে শ্মশানে অনেক সমাধী রয়েছে যার কোন স্বজন এখানে আসেন না কিংবা কেউ হয়তো বেঁচেও নেই। তাদের সমাধীতে শ্মশান কমিটির পক্ষ থেকে রংয়ের কাজ করা হচ্ছে।
মহা শ্মশানের পুরোহিত সুজয় চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকেল ৪টার পর ভু-চতুর্দশী শুরু হবে এবং শনিবার রাত ১২.১ মিনিটে কালিপূজা শুরু হবে।এদিকে শ্মশান দিপালী উৎসবকে নির্বিঘœ করতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন, স্বাস্থ্য বিভাগ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যৌথ সভা করা হয়েছে। সভায় দিপালী অনুষ্ঠানে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধর্মীয় অনুুষ্ঠান এবং কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানানো হয়।