প্রকাশ: ৮ নভেম্বর ২০২০, ৪:৩২
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির সকল শর্ত পূরণের পরেও তা দিতে পারছেন না বরিশাল বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনী। লাইসেন্স না থাকায় সড়কে তাড়া খেয়ে বিআরটিএ কার্যালয়ে গিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। বরিশাল বিআরটিএ কার্যালয়ে এসে ড্রাইভিং লাইসেন্স না পেয়ে ফিরে যাওয়া কয়েকজন পেশাদার এবং অপেশাদার চালক এমনই অভিযোগ করেছেন।
তাদের দাবি দু’বছর আগে লাইসেন্স এর আবেদন করলেও এখনো তা হাতে পাননি। আড়াই সহস্রাধিক পেশাদার ও অপেশাদার চালকের লাইসেন্স বিআরটিএতে আটকে আছে বলে দাবি গ্রাহকদের। আর বরিশাল বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনার কারণে যথাসময়ে লাইসেন্স প্রদান করা সম্ভব হয়নি। আগামী বছর জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহের দিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেয়া সম্ভব হবে বলে জানান তারা। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন (বিআরটিএ) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ সমস্যা শুধু বরিশালের নয়, বরং সারা বাংলাদেশে ৭ লক্ষাধিক ড্রাইভিং লাইসেন্স এর আবেদন জমা আছে।
এ সময়ের মধ্যে নির্ধারিত মোবাইল নম্বরে ম্যাসেজের মাধ্যমে লাইসেন্স বিতরণের তারিখ জানানো হবে বলেও সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছিলো। তবে প্রায় এক বছর সময় পেরিয়ে গেরেও কোন ম্যাসেজ না আসায় তিনি পুরনায় বিআরটিএ বরিশাল সার্কেল অফিসে যোগাযোগ করেন। তারা জানিয়েছে, লাইসেন্স পেতে আরও কয়েক মাস সময় লাগবে। এদিকে সড়কে ট্রাফিক বিভাগের মামলা এড়াতে একই আবেদন পত্রের ওপর দ্বিতীয় দফায় আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দিয়েছে বিআরটিএ কার্যালয় থেকে।