বরিশালে ছাত্রদল নেতা রফিকুল ইসলাম টিপুকে কুপিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতারি কুপিয়েছে ১৫ থেকে ২০ অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত। প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখমের পর মৃত ভেবে টিপুকে নগরীর শ্রীনাথ চ্যাটার্চী লেনের সম্মুখে রাস্তার ওপর ফেলে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বরিশাল কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম টিপু শ্রীনাথ চ্যাটার্চী লেনের মুখে একটি হোটেলে বসেছিলেন। এসময় হঠাৎ করেই অন্তত ১৫ থেকে ২০ জন যুবক অস্ত্রসহ এসে তাকে টেনে বের করার চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে তারা দোকানটিতে হামলা-ভাঙচুর চালায়। একপর্যায়ে টিপুকে টেনে হিঁচড়ে বের করে রাস্তার ওপরে এলোপাতারি কুপিয়ে জখম করে। এমনকি মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পরেও টিপুকে অস্ত্রধারীরা কোপাতে থাকে। শেষে তাকে মৃত ভেবে সড়কের ওপর ফেলে চলে যায়। অনেকেই এ হামলার ঘটনা প্রত্যক্ষ করলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি।
তবে হামলাকারীরা স্থান ত্যাগের পরে কয়েকজন লোক তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে গেছে। খবর পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও হামলাকারী কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উল্লেখ্য একই স্থানে টিপুর ছোট ভাই রাফসান আহম্মেদ জিতুকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। টিপু বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি নেতা আহসান হাবিব কামাল অনুসারী।বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।
এদিকে ছাত্রদল নেতা টিপুর উপর সন্ত্রাসী হামলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এসএম মাসুদ রানা নামে একজন লিখেছেন, ২০১২ সালে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় খুন হতে হয়েছে টিপুর ছোট ভাই রাফসান আহম্মেদ জিতুকে। নিহত জিতুও বিএনপি নেতা কামাল অনুসারী ছিলেন।