প্রকাশ: ১ নভেম্বর ২০২০, ২০:৩
বরিশালে ৩ দফা দাবীতে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের ইন্টার্ন ডক্টর্স এসোসিয়েশনের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিন রবিবার সকালে হাসপাতালে গিয়ে কোন ইন্টার্ন চিকিৎসককে কাজে যোগ দিতে দেখা যায়নি। এদিকে রোগী ও রোগীর স্বজনরা জানান, শনিবার দুপুরের পর থেকে কোন ডাক্তারই তাদের খোঁজ খবর নেননি। এমনকি কোন চিকিৎসকের দেখাও তারা পাননি। এ অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। বিশেষ করে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাধারনত ২৪ ঘন্টাই রোগীর পাশে থাকতো।
কিন্তু ধর্মঘটের কারনে এখন আর তারা কেউই সেখানে নেই। ৩ দফা দাবিগুলো হলো, ডাঃ মাসুদ খান কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা ও বিভিন্ন মাধ্যম কর্তৃক হয়রানি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করা, ডাঃ মাসুদ খান এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ এর সুষ্ঠু বিচার করা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রচারকৃত অসত্যের জন্য মানহানির বিচার করা। এর আগে গত ২১ অক্টোবর শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪ এর সহকারি রেজিষ্ট্রার মোঃ মাসুদ খান শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সভাপতি সজল পান্ডে এবং সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলামের নাম উল্লেখ করে আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে তার ওপর হামলা ও মারধরের অভিযোগ এনে পরিচালক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর দিন ২২ অক্টোবর ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিকেলের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নেয়ার অভিযোগে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেন ডাঃ মাসুদ খানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় হাসপাতালের পরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সর্বশেষ ৩০ অক্টোবর ডাঃ মাসুদ খান কোতোয়ালি থানায় ওই ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। মামলার খবর পেয়ে ২৯ অক্টোবর দিবাগত রাত ১২ টা ১ মিনিটে কোন রকম ঘোষনা ছাড়াই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তালা দিয়ে বিক্ষোভ করলেও কর্তৃপক্ষের সমঝোতার আশ্বাসে ওই সময় ধর্মঘট স্থগিত করা হয়।
কিন্তু কোন সমঝোতা না হওয়ায় শনিবার ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ঘোষণা দিয়ে কর্মবিরতি শুরু করেন। এ ব্যাপারে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ বাকির হোসেন জানান, দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসা হলেও কোন পক্ষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ছাড় দিতে রাজি না হওয়ায় সমঝোতা হয়নি। সমস্যা সমাধানে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও জানান পরিচালক।