নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নে বিস্কুটের লোভ দেখিয়ে এক শিশু ছাত্রীকে (৭) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চর হাছান গ্রামের আব্দুল হক কাজী (৫৮) পলাতক রয়েছে। গুরুত্বর অবস্থায় শিশুটিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার রাত পর্যন্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে তাকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। অভিযুক্ত আব্দুল হক কাজী চরহাছান গ্রামের দায়মুদ্দিন কাজীর ছেলে আব্দুল হক কাজী।
শিশুটির পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুরে শিশু শ্রেণির ওই ছাত্রী তাদের পাশের বাড়ীর শিশুদের সাথে খেলাধুলা করছিল। এ সময় তার প্রতিবেশী আবদুল হক কাজী শিশুটিকে বিস্কুট দেওয়ার কথা বলে তার বসত ঘরে নিয়ে যায়। ঘরের দরজা বন্ধ করে শিশুটির মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে আব্দুল হক। এসময় এ ঘটনা কাউকে বললে তাকে হত্যা করার হুমকি দেয়। রক্তাক্ত শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার মা’কে জানায়। পরে শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য (মেম্বার) ফজিলাতুন নেসাকে জানালে তিনি বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করে দেওয়া হবে বলে তাদের জানান।
পরে বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির বাবা চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম মাষ্টারের কাছে ঘটনা জানালে তিনি বৃহস্পতিবার রাতেই চরজব্বার থানায় শিশুটি ও তার পরিবারকে পাঠিয়ে দেন। রাতেই মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে আব্দুল হক কাজীকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। চরজব্বার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম জানান,
বিষয়টি নারী ইউপি সদস্যকে জানানোর পরও তিনি ঘটনাটি সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মীমাংসা করার কথা বলে শিশুটির পরিবারকে মামলা করতে দেননি। পরে রাতে তিনি বিষয়টি শুনে সাথে সাথে তাদের চরজব্বার থানায় পাঠিয়ে ওসিকে মামলা নেওয়ার অনুরোধ করেন। চরজব্বার থানার ওসি মোঃ সাহেদ উদ্দিন জানান খবর পেয়ে আমরা শিশুটিকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। ঘটনার পর থেকে ধর্ষক পলাতক রয়েছে। তবে তাকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।