বরিশালে মা ইলিশ সংরক্ষণে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ঝটিকা অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অমিতাভ সরকার ও রেঞ্জ ডিআইজি শফিকুল ইসলাম (বিপিএম-বার, পিপিএম) এবং বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার গত বুধবার বিকেলে এ অভিযান চালান। এ সময় জেলে শূণ্য নদী দেখে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেন। ইলিশ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে তারা এ অভিযান চালান।
বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার অমিতাভ সরকার বলেন, দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময়ে ইলিশ শিকারে সরকারী বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়। সরকারের এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য আমরা জেলে, সাধারন মানুষ সহ সবাইকে সচেতন করছি। এর সুফল হিসেবে আমাদের দেশে পূর্বের তুলনায় ইলিশ উৎপাদন বেড়েছে। তিনি আরো বলেন, সরকার জেলেদের কথা চিন্তা করে বরিশাল বিভাগে ২ লাখ ৮২ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে জেলেদের বিভিন্ন ধরনের প্রনোদনা ও সুযোগ সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম (বিপিএম-বার, পিপিএম) বলেন, ইলিশ আহরণের নিষেধাজ্ঞা সুফল বয়ে আনছে। বিগত সময়ের থেকে ইলিশের আকার ও উৎপাদন দুটোই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধেকঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা করা হবে।বিভাগীয় মৎস্য দপ্তরের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার বলেন, গত বছর বরিশাল বিভাগ থেকে ৩লাখ ৪১ হাজার মেঃ ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। এবছর ৪ লাখ মেঃ টন ইলিশ উৎপাদনের আশা করছি। এ অভিযানের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। সরকারী নিয়ম মেনে নিষেধাজ্ঞার সময়ে মাছ শিকার থেকে বিরত থাকলে দেশের নদ নদীতে ইলিশের সংকট থাকবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বরিশালের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট রাজিব আহমেদ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু সাইদ, মৎস্য কর্মকর্তা (হিলশা) বিমল চন্দ্র দাশ, বরিশাল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান, রেঞ্জ ডিআইজির ষ্টাফ অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার সালমান হাসান, বরিশাল সদর নৌ পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোষ্টগার্ডের চীফ পেটি অফিসার এম রুহুল আমিন ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।এদিকে মেহেন্দিগঞ্জে মা ইলিশ রক্ষায় অব্যাহত অভিযানে ৬৭ জেলের কারাদন্ড এবং লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। গত বুধবার দিনভর পরিচালিত অভিযানে ১১ হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে নষ্ট করে দেয়া হয়।উল্লেখ্য, আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে এবং জাতীয় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় টাস্ক ফোর্সের অভিযান ও প্রশাসন পরিচালিত মোবাইল কোর্ট নিয়মিত পরিচালিত হবে।