প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২০, ১:২৭
জ্বালানী কাঠের সংকট, ব্যবহারে সুবিধা ও সাশ্রয়ী হওয়ায় দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলেও জ্বালানী হিসেবে এলপিজি গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে। ফলে আগের তুলনায় এলপিজি গ্যাস বিক্রিও হচ্ছে প্রচুর। তবে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোর দায়সারা অভিযানের কারণে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অনুমোদনহীন এলপিজি গ্যাস বিক্রেতার সংখ্যাও। মুনাফালোভীরা বরিশাল নগরীসহ আশপাশের জেলা উপজেলা ও থানা এলাকায় কোন রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও লাইসেন্স ছাড়াই জ¦ালানী গ্যাস বিক্রি করছে। যত্রতত্র এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করায় মারাত্মক প্রাণহানীর ঝুঁকিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। এদিকে বাজারজাতকৃত সিলিন্ডারগুলোর ধারণ ক্ষমতা বেশি দাবী করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লোকবল সংকটের কারণেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। অপরদিকে অনুমোদনহীন এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী সচেতন মহলের।
জানা যায়, পেট্রোল ও এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য জ্বালানী মন্ত্রণালয়ের বিস্ফোরক লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, জেলা প্রশাসকের অনাপত্তি পত্র, মজুদের জন্য পাকা গোডাউন, এছাড়া লে-আউট নকশা থাকা বাধ্যতামূলক হলেও তা মানছেন না এসব ব্যবসায়ীরা। জানা গেছে, এলপিজি গ্যাসের খুচরা বিক্রেতাদের জন্য আইনে কিছুটা ছাড় দেয়া আছে। আর এ সুযোগে অনুমোদন না নিয়েই তারা মাত্রাতিরিক্ত সিলিন্ডার মজুদ করছে। বিস্ফোরক অধিদফতরের বরিশাল অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর জুলাই পর্যন্ত বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় এলপিজি গ্যাস মজুদের জন্য ১৮৩টি লাইসেন্স অনুমোদন নেয়া আছে। আর প্রস্তাবনা রয়েছে আরো ২৭টি লাইসেন্স। তবে বাস্তবে অনুমোদনহীন এলপিজি গ্যাস বিক্রেতার সংখ্যা ৫ শতাধিক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, লোকবল সংকটের কারণে ২০১৯ সালে মাত্র ৩টি অভিযান পরিচালিত হলেও চলতি বছর কোন অভিযান চালানো হয়নি। কেননা বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা বিস্ফোরক কর্মকর্তা মাসে দু’একবার বরিশাল আসলেও একমাত্র তিনি বিভাগের ৬ জেলায় নিয়মিত পরিদর্শন করার পাশাপাশি পুলিশও বিষয়টি দেখছেন বলে দাবী করেন। এ বিষয়ে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম (বিপিএম-বার, পিপিএম) জানান, এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান যদি সহযোগিতা চায় সেক্ষেত্রে সব সময় পুলিশ তাদের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া তাদের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে নজরদারী রয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, অবৈধভাবে যততত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি বন্ধে সকলের সম্মিলিতভাবে কাজ করা উচিত।