চলমান মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান অব্যাহত রেখেছে সদর উপজেলা মৎস্য অফিস। গত ৫ দিনে ৫টি ভ্রাম্যমান আদালত ও ২০টি অভিযানে প্রায় ২৩ লাখ টাকার জাল জব্দ করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া নিষেধাজ্ঞাকালীন মাছ ধরার দায়ে ৫টি মামলা ও ৩ জনকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মুনিবুর রহমান ও সদর উপজেলা এসিল্যান্ড মোঃ মেহেদি হাসান। এদিকে গত ৫ দিনে ৩ হাজার ১৩২জন জেলের মধ্যে ৬৪.১০ মেঃটন চাল বিতরণ করা হয়েছে।
বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিবুর রহমান ও এসিল্যান্ড মোঃ মেহেদি হাসান’র নেতৃত্বে কীর্তনখোলা, আড়িয়াল খাঁ সহ উপজেলার বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালানো হয়। গত ৫ দিনে অন্তত ৫টি ভ্রাম্যমান আদালতে অন্তত ৩০ জেলেকে আটক করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ৫দিনে জব্দকৃত আনুমানিক মূল্য ২৩ লাখ টাকার সাড়ে ১১ হাজার মিটার জাল পুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি জব্দকৃত ৪০ কেজি ইলিশ মাছ বিভিন্ন এতিমখানায় ও মাদ্রাসায় বিতরণ করা হয়।
সদর উপজেলা সিনিঃ মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জিব সন্যামত জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা শুরু পর কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, মেট্রোঃ পুলিশ ছাড়াও মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে প্রতিদিনই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মৎস্য অফিস বেশি সতর্ক থাকায় জেলেরা নদীতে জাল ফেলতে পারছেনা বলে দাবী করেন তিনি।