মা ইলিশ সংরক্ষণে বরিশালে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১০ জেলেকে কারাদণ্ড ও ৩ জেলেকে ২১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় এক লাখ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল জানিয়েছে, বরিশালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম অজিয়র রহমানের নির্দেশনায় বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী সুজা এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।অভিযানে ইলিশ মাছ আহরণকালে নৌ-পুলিশের সহায়তায় ইয়াসিন মজুমদার (২৫) নামে এক জেলেকে আটক করা হয়। পরে তাকে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইলিশ মাছ আহরণের অপরাধে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট। পাশাপাশি দুই হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
অপরদিকে বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আমীনুল ইসলামের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ইলিশ মাছ শিকারের দায়ে চার জেলেকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি এক জেলেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া এ অভিযানে ৭০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় এবং জব্দকৃত পাঁচ কেজি ডিমওয়ালা ইলিশ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।এদিকে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পিজুস চন্দ্র দে’র নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে তিন জেলেকে এক মাস করে কারাদণ্ড ও দুই জেলেকে তিন হাজার টাকা করে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি এ অভিযান ১৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
বানারীপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে দুইজনকে আটক করে থানা পুলিশ। পরবর্তীতে আটককৃত দুই জেলেকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পাশাপাশি এক হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বকুল চন্দ্র কবিরাজের নেতৃত্বে অভিযান চলাকালে নদী থেকে ৮০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে তা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।