ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হকের সংগঠন ‘ছাত্র অধিকার পরিষদ’ ভেঙ্গে সংগঠনটির ‘বহিষ্কৃত’ যুগ্ম আহ্বায়ক এপিএম সুহেলের নেতৃত্বে ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ নামে ২২ সদস্যের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এদের কেউই সংগঠনের নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।তিনি বলেছেন, সরকার তাদের অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য বহিষ্কৃতদের দিয়ে এগুলো করাচ্ছে। ঘোষিত ওই কমিটি নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ওখানে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেউ নাই। এপিএম সোহেল আমাদের ছাত্র অধিকার পরিষদের ছিল এক সময়। তাকে মে মাসে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আমাদেরকে রাজনৈতিকভাবে কোণঠাসা করার জন্য, আমরা যেহেতু বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের ডাক দিয়েছি, মানুষকে সংগঠিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি সরকার আমাদের এই রাজনৈতিক অব্স্থানটাকে নষ্ট করার জন্য, আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, টাকা পয়সা খরচ করে তাদের কিছু অনুসারী দিয়ে এগুলো করাচ্ছে। এখানে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেউ নাই। ধর্ষণের অভিযোগ উঠার পর পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়ার পর সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক পদে আসেন পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান।
ছাত্র অধিকার পরিষদে কোনো ভাঙ্গন ধরেনি দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের মূল চার নেতার মধ্যে যদি একজনও আলাদা অংশে থাকতেন, তাহলে সেটিকে ভাঙ্গন বলা যেতো। এখন যিনি আলাদা অংশে রয়েছেন, তিনি গত মে মাসেই সংগঠনপরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার অপরাধে বহিষ্কৃত হয়েছেন। তাদের নিয়ে আমরা ভাবছি না। সে তো আমাদের সংগঠনে নেই।সংবাদ সম্মেলনে করা অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, সেখানে যারা ছিলেন, তারা ছাত্র অধিকার পরিষদের কেউই না। সুতরাং তারা নানা ধরনের গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক।
এ বিষয়ে রাশেদ খান স্বাক্ষরিত ‘ছাত্র অধিকার পরিষদে’র এক বিজ্ঞপ্তিতে নতুন ঘোষিত কমিটির কয়েকজনের কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ‘অতীতে আমাদের কিছু সার্বজনীন আন্দোলনে তাদের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হলেও, তাদের কেউ আমাদের সংগঠনের সাথে যুক্ত নন। আমরা মনে করি, তাদের এই কর্মকাণ্ড আমাদের পথচলাকে ব্যাহত করতে সরকারের দমন-পীড়ন এবং চলমান ষঢ়যন্ত্রেরই একটি অংশমাত্র।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।