প্রকাশ: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:৫৮
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে আটক আসাদুল ইসলাম।আজ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক কমান্ডার রেজা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে জিজ্ঞাসাবাদে আসাদুল আর কী কী তথ্য দিয়েছেন মামলার তদন্তের স্বার্থে এখনেই কিছু বলতে চাননি র্যাবের এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ঘটনার গভীরে যেতে চায় র্যাব। আটক দুজনের মধ্যে দায় স্বীকার করা আসাদুলের বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত হলেই তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। খুব শিগগিরিই ঘটনার মূল কারণ চিহ্নিত করে দায়ীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সবকিছু জানানো হবে।
আজ শুক্রবার ভোর ৫টায় দিনাজপুর জেলার সীমান্তবর্তী হাকিমপুর (হিলি) উপজেলার কালীগঞ্জ থেকে আসাদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামি ঘোড়াঘাট উপজেলার সাগরপুর গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আসাদুল ইসলাম। তার বয়স ৩৫ বছর। বুধবার মধ্য রাতে ঘোড়াঘাটে সরকারি বাসায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা। এরপর তাকে ও তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার বাবা চিকিৎসাধীন আছেন। তবে ইউএনওর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকায় আনা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ওয়াহিদা খানমকে ঢাকায় আনা হয়। ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওয়াহিদা খানমকে।অবস্থা স্থিতিশীল না হওয়ায় তার অস্ত্রোপচার করা নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন মেডিকেল বোর্ড। পরে অবস্থার উন্নতি হলে রাত নয়টার তার অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচার শেষে চিকিৎসক বলেন, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে, তাকে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।