প্রকাশ: ১ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২:৩১
সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ করা পাঁচ হাজার ৫৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রিট আবেদনকারী ৫১ জনের নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, পিএসসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুল জারির আদেশ দেন।আদালতে রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও ব্যারিস্টার বিভূতি তরফদার। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জেসমিন সুলতানা সামসাদ।
ফলে চূড়ান্তভাবে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেখানো হয় ১০ হাজার ৩৪০ জনকে। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে মেধা তালিকা অনুসারে পাঁচ হাজার ১০০ জনকে নিয়োগ দিতে পিএসসি ২০১৮ সালের ১৯ আগস্ট সরকারকে সুপারিশ করে। ওই সুপারিশ অনুযায়ী সরকার তাদের নিয়োগ দেয়।পরবর্তীতে গত মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সরকার ছয় হাজার নার্স নিয়োগের জন্য পিএসসির কাছে চাহিদাপত্র দেয়। এর আলোকে ২০১৭ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৫০৫৪ জনকে নিয়োগের জন্য গত ৩০ এপ্রিল সরকারের কাছে সুপারিশ করে পিএসসি। এরপর সরকার তাদের সকলকে নিয়োগ দেয়।
নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে অযোগ্যতার কারণে পাঁচজনের আবেদনপত্র ২০১৮ সালের ১১ জুন বাতিল করে পিএসসি। এ অবস্থায় ২০১৭ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির আলোকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্যে নিয়োগ বঞ্চিত ৫১ জন রিট আবেদন করেন।শুনানি নিয়ে নার্স পদে ৫০৫৪ জনকে নিয়োগের জন্য সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সুপারিশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং রিট আবেদনকারী ৫১ জনকে নিয়োগ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।