প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২০, ৪:৩
বৈশ্বিক মহামারী করোনায় বন্ধ রয়েছে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরপরই দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে ফলাফল দেরীতে প্রকাশিত হয়েছে। গত ৯ আগস্ট থেকে একাদশ শ্রেনীর ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলেও কবে নাগাদ ক্লাশ শুরু হবে সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি। অপরদিকে বোর্ড নির্ধারিত বাংলা, ইংরেজি, বাংলা সহপাঠ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের বই এখনো বাজারজাত করা হয়নি।
জানা গেছে, এই বইগুলোর ব্যাপারে এখনো টেন্ডার প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করেনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। ফলে একাদশ শ্রেনীতে ভর্তি সম্পন্ন হলেও পাঠ্যবই পাওয়া না পাওয়ার শংকা থেকে যায়। তবে এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, করোনার কারণে ফলাফল দেরীতে ঘোষণা হওয়ায় কত সংখ্যক শিক্ষার্থী পাশ করবে তা জানতেই টেন্ডার ঘোষণা করা হয়নি। তাছাড়া যথাসময়ে বইগুলো বাজারে আসবে বলেও জানান তিনি। এদিকে প্রকাশনা কোম্পানীগুলো গত ২০১৯ সালে ছাপানো বইয়ের মুদ্রণ তারিখ পরিবর্তন করে সেগুলো ২০২০ সালে বাজারজাত করছে।
এদিকে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের বোর্ড নির্ধারিত জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)’র বই এখনো বাজারজাত করা হয়নি। এনসিটিবি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের বোর্ড নির্ধারিত বইয়ের টেন্ডার প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়নি। ফলে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও বোর্ড নির্ধারিত বইগুলো কবে নাগাদ পাওয়া যাবে তা নিয়ে সন্দিহান শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শিক্ষার্থীরা অনেকটা পিছিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। কেননা দীর্ঘ ৫ মাস যাবৎ শিক্ষার্থীরা শ্রেনীকক্ষের বাইরে রয়েছে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় পড়ার টেবিলে বসতে চায় না সন্তানরা। তাই সন্তানকে কিছুটা ব্যস্ত রাখার জন্য অনলাইন ক্লাশ করাচ্ছেন। এছাড়া ৩য় কিংবা ৪র্থ শ্রেনীর ইংরেজীর অনলাইন ক্লাশের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শিক্ষক শুরুতে কমপক্ষে ৫ মিনিট ইংরেজীতে উপস্থাপন করছেন। পরবর্তীতে অবশ্য বাংলা ও ইংরেজী মিলিয়ে উপস্থাপন করেছেন। প্রশ্ন হচ্ছে, আমাদের দেশের বাংলা মাধ্যমের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীই নয়, নবম-দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থীরাও ইংরেজীতে ততোটা পারদর্শী নয়। সেক্ষেত্রে পাঠদান কৌশল পরিবর্তনের উপর গুরুত্বারোপ করছেন সচেতন মহল।