লেবাননের বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণে দুশতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনার পর বাংলাদেশের বিস্ফোরক আমদানি ও মজুদের বিষয়ে তথ্য চেয়েছে বিস্ফোরক অধিদপ্তর। কোনো অবস্থায়ই যেন দেশের কোনো স্থল ও সমুদ্রবন্দরে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট গুদামজাত না করা হয়, এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলেছে সরকারি এই সংস্থা।
এ ব্যাপারে সব স্থল ও সমুদ্রবন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছে বিস্ফোরক অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে চলতি বছরে চারটি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কী পরিমাণ বিস্ফোরক মজুদ রয়েছে এবং কী পরিমাণ ব্যবহার হয়েছে তা জানতে চেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধান বিস্ফোরক পরিদর্শক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ জানান, বিদেশ থেকে আমদানি করা বিস্ফোরক দ্রব্য অসতর্ক অবস্থায় হ্যান্ডেলিংয়ের কোনো সুযোগ নেই।
এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সব স্থল ও সমুদ্রবন্দর, কাস্টমস, জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনারদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অননুমোদিতভাবে বিস্ফোরকদ্রব্য আনলোড করে রাখা না হয়। অনুমোদনবিহীন গুদামে রাখা না হয়। এ বিষয়ে সাবধানতার জন্য এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের কিছু কিছু তো আমদানি করা হয়ে থাকে। মেডিক্যাল ও খনি পারপাসে এখানে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার হয়। তাই বন্দরগুলোয় বিশেষভাবে নজর দিয়েছি। বন্দরে নির্দেশের পাশাপাশি এ নির্দেশনার অনুলিপি জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে, কাস্টমস অফিসে পাঠানো হয়েছে।
লেবাননের রাজধানী বৈরুতের বন্দর এলাকায় বিস্ফোরকের গুদামে গত ৪ আগাস্ট ভয়াবহ বিস্ফোরণে বহু মানুষ হতাহত হয়। বিবিসির তথ্য মতে, এ বিস্ফোরণে ২২০ জন নিহত এবং কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। ওই ঘটনার জেরে জনরোষের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে লেবানন সরকার। ওই ঘটনায় ৪ বাংলাদেশিরও প্রাণ গেছে।