প্রকাশ: ৩০ জুলাই ২০২০, ১৬:৩৬
বন্যাও বর্ষার পানির প্রবল তোড়ে ব্রাক্ষণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা হাওরে উপজেলা পাকশিমুল- চুন্টা ব্রিজ এলাকার সরাইল- অরুয়াইল সড়কের প্রায় ২ কিঃ মিঃ অংশ ভেঙ্গে সড়কে দুদিক ধসে গেছে। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের ভেঙ্গেছে সড়কের দুদকে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পানি দুদিকের হাওরে বন্যার পানি বাড়ায় সড়কটি পানির নিচে তুলিয়ে যায়।সড়কের ভুঁইশর এলাকা পর্যন্ত এখন ধসের বিস্তৃতি বাড়ছিল।
তবে বালুর বস্তা ফেলে ধস ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। এতে দুর্ভোগ ও ভোগান্তিতে পড়েছে প্রায় লক্ষাধিক লোকজন। এছাড়া এ সড়ক দিয়েই অরুয়াইল- পাকশিমুলের লোকজন ছাড়াও অন্য উপজেলার লোকজনও চলাচল করে থাকে।সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের ভুইঁশর এলাকার চুন্টা ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তাটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া অংশ সড়কের ভুঁইশর এলাকা পর্যন্ত এখন ধসে দুদিকে সড়কের ভেঙ্গে গেছে।
তবে এ অবস্থায় বালুর বস্তা ফেলে ধস ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ তবে এ অবস্থা দেখে ষাটঊর্ধ্বে রঞ্জু মিয়া বলেন, কিছু দিন আগে পানিতে তুলিয়ে যাওয়া সড়ক দুদিকে ভেঙ্গেগেছে এখন বস্তা দিলে কি হবে? প্রতিদিন সড়ক ডেবে যাচ্ছে। বালুর বস্তা আর কোন কাজে আসবেনা। যেমন ক্যান্সার রোগীর ঝাড়ফুঁকে কাজ হয় না। আমরা গ্রামের মানুষ সবকিছু জানিনা তবে, জন-দুর্ভোগ ও ভোগান্তি নিরসনে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান জরুরি।
সরাইল উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী নীলুফা ইয়াসমিন বলেন, হাওরের জোয়ারে পানি স্রোতে বন্যা পরিস্থিতির কারণে সরাইল- অরুয়াইল সড়কের তলিয়ে যাওয়া অংশে বালুর বস্তা ফেলে সড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রেখেছি। উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ সড়কের সংস্কারের জন্য আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদেরকে জানিয়েছি। তবে অতি শীগ্রই এ সমস্যা সমাধান করতে বরাদ্দ দিবে। তবে কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে।
অরুয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইঁয়া জানান, সরাইল-অরুয়াইল সড়ক লাখো মানুষের স্বপ্নের সড়ক। বহু প্রতিক্ষার পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ সড়ক নির্মিত হয়। এতে লাখো মানুষের জীবনমান পাল্টে যায়। কিন্তু প্রতিবছরই হাওরের পানিতে সড়কটির বড় একটি অংশ ভেঙে যায়। এতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়ে যায়। এ অংশে
সংস্কার করা হলে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্তের কবলে পড়তে হত না। সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসা জানিয়েছেন, গতকাল আমি নিজে সড়কে গিয়েছিলাম এ বছর টানা বর্ষণ ও ঢলে সরাইল-অরুয়াইল সড়কের কয়েকটি অংশ পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সড়কটির এখন ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে ইটওবালু ফেলার কাজ করা হয়েছে।উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করতে এলজিইডিকে বলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম আজ সরাইল- অরুয়াইল সড়ক ভাঙ্গন অংশ পরিদর্শনে এসে বলেন, সরাইল উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দিয়ে,হাওরএলাকার কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে। বন্যার পানি উঠার আগে ভাঙন থেকে সড়কটি রক্ষার জন্য জরুরি তহবিল থেকে খোয়া ও বালুর বস্তা দেওয়া হয়েছিল। এখন সড়কের যে অবস্থা কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। একটু কষ্ট করে যানবাহন ও মানুষ চলাচল করবেন। এ সড়কের কাজের বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন,আশা করছি কিছু দিনের মধ্যে অগ্রধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিবে। এ অবস্থায় কাজ করা যাবে না হাওরের পানি কমলে ও শুকনো মৌসুমে ইনশাল্লাহ এ সড়কের সংস্কারের কাজ করা হবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।