প্রকাশ: ২৯ জুলাই ২০২০, ২:৫২
ঢাকাসহ সারাদেশে কুরবানী হাটসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে অভিযান ও সচেতনতা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা ; ১৩২ টি প্রতিষ্ঠানকে ৭ লক্ষ ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা।বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতি ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় রাখাসহ নকল ও ভেজাল প্রতিরোধ এবং কোরবানির পশুর চামড়া যথাযথভাবে সংরক্ষণ ও ন্যায্যমূল্যে চামড়া ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকাসহ সারাদেশে বাজার তদারকিমূলক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
জাতীয় সম্পদ চামড়া, রক্ষা করব আমরা" স্লোগানকে সামনে রেখে সাভার ট্যানারী শিল্প নগরী ও গাবতলী কুরবানী পশুর হাটে দিনব্যাপী সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় কুরবানীর পশুর চামড়া যথাযথ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করা এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে তা ক্রয় বিক্রয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা চামড়া শিল্প নগরীর সম্মানিত প্রকল্প পরিচালক মহোদয়সহ অন্যান্য অংশীজনের সাথে জরুরি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। হ্যান্ডমাইকে ব্যাপকভাবে প্রচারসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরবরাহকৃত সচেতনতামূলক লিফলেট উপস্থিত ক্রেতা-বিক্রেতারমাঝে বিতরণ করা হয়।
এছাড়া ঢাকার বাইরে ৪৩ জন কর্মকর্তা বিভাগে উপপরিচালক ও জেলায় সহকারী পরিচালকগণের নেতৃত্বে বাজার অভিযান পরিচালিত হয়।এছাড়াও টিসিবির ন্যায্য মূল্যের ট্রাকসেল তদারকি করা হয়।এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জনাব বাবলু কুমার সাহা আসন্ন ঈদে সঠিক পদ্ধতিতে কোরবানির পশুর চামড়া ছাড়ানো ও সংরক্ষণ করতে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া ক্রয় বিক্রয় করতে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনকে আহবান জানান।এছাড়াও ঈদকে সামনে রেখে মসলাজাতীয় পণ্যসহ সকল ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, কসমেটিকস ও ঔষধ যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় করার জন্য ও ভোক্তাস্বার্থ সংরক্ষণে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য করা হতে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের সকল কোরবানির পশুর হাটে ভোক্তা সাধারণ ও ব্যবসায়ীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজারে পশু ক্রয় বিক্রয়ের উদাত্ত আহ্বান জানান।