প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২০, ১৭:১
করোনা মোকাবিলার নামে প্রতি মাসে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পেছনে সরকার খরচ করছে শতশত কোটি টাকা। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসেবেই, দুই শতাধিক হাসপাতালে এ মুহূর্তে রোগী আছে মাত্র সোয়া চার হাজার। শত কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ করা ফিল্ড হাসপাতালগুলোতেও রোগী নেই বললেই চলে।স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেবা নয় বরং কোভিড চিকিৎসার নামে লুটপাটের উদ্দেশেই কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট অধিদফতর।গত মার্চ মাসে দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের পর থেকেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নানা পদক্ষেপ নিয়ে আসছে।
অথচ সেখানে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ রয়েছে সাড়ে ৫শরও বেশি। একইভাবে ঢাকা মেডিকেলের কোভিড ইউনিট, মুগদা ও শেখ রাসেলসহ বেশির ভাগ হাসপাতালের পেছনে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও সেসব জায়গায় সক্ষমতার অর্ধেক শয্যাই ফাঁকা। এছাড়া বিশেষায়িত কোভিড হাসপাতাল ঘোষিত হলি ফ্যামিলিতে সরকারিভাবে প্রতিমাসে প্রায় ৭ কোটি টাকা খরচ হলেও সেখানে রোগী ভর্তি আছে মাত্র ১৪৩ জন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বাস্থ্য অধিদফতর করোনার নামে ব্যবসা করছে বলেই মানুষ সেবা পাচ্ছে না।জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদয়ানুর বলেন, খরচ না করলে তো আর কিছু পাওয়া যাচ্ছে না, তাই খরচ করার দিকেই ঝুঁকছে।স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, করোনা চিকিৎসার জন্য দেশে এ মুহূর্তে মোট শয্যা রয়েছে মাত্র ১৫ হাজার ৪৬৮ টি।