প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২০, ১:৪৬
ঢাকা শহরে মেট্রোরেলের রুট বিস্তারে সহজ শর্তে ঋণ দিয়ে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধু রাষ্ট্র জাপান।ইতোমধোই জাপানের ঋণে মেট্রোরেল লাইন-৬-এর আওতায় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।এ পর্যন্ত এ প্রকল্পের অগ্রগতি ৪৪.৬৭ শতাংশ।স্বাধীনতার ৫০বছর পূর্তি উদযাপন বর্ষ ২০২১ সালের বিজয় দিবসে এইমেট্রোরেল উদ্বোধনের পরিকল্পনা আছে।২০১২ সালে গৃহীত হয় মেট্রোরেল প্রকল্প।এ প্রকল্পের দৈর্ঘ্য উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১ কিলোমিটার।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকার মধ্যে সাহায্য হিসেবে জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা ঋণ দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যয় বিবেচনা করে আরো দুটি মেট্রোরেল লাইন ১ ও ৫ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পাশ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই দৃশ্যমান হবে এ দুই প্রকল্পের কাজ। নতুন এ দুটি মেট্রোরেলে জাপান বাংলাদেশকে আরো ৬৪ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা ঋণ দিতে চলেছে। সহজ শর্তে এ ঋণ দিচ্ছে জাপানের সরকারি উন্নয়ন সংস্থা জাইকা।
অবকাঠামো খাতের জন্য এর সুদ হার হবে ১ শতাংশ। তবে স্বাস্থ্য ও সেবা খাতের জন্য সুদ হার যথাক্রমে ০.৯ শতাংশ ও ০.১ শতাংশ। দশ বছর গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে এ ঋণ। গ্রেস পিরিয়ডের আওতায় প্রথম ১০ বছর সুদ ছাড়াই মূল ঋণের অংশ পরিশোধ করতে হবে।এ ঋণ প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তরা জানান, বিভিন্ন প্যাকেজের আওতায় বাংলাদেশকে একসঙ্গে দেওয়া এই সহায়তা হবে জাপান সরকারের উন্নয়ন সংস্থা জাইকার এখন পর্যন্ত দেওয়া সর্বোচ্চ সাহায্য। দ্রুত সময়ে অনুষ্ঠিত হবে এ ঋণচুক্তি। এ বিষয়ে ইআরডি ও জাইকার মধ্যে সব ধরনের পদেক্ষপ নেওয়া হচ্ছে।
প্রস্তাবিত এমআরটি রুট-৫-এ (নর্দান রুট) ১৪টি স্টেশন থাকবে। এর মধ্যে নয়টি স্টেশন হবে আন্ডারগ্রাউন্ডে, বাকি পাঁচটি স্টেশন থাকবে মাটির ওপরে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে জাইকা দেবে ৩০ হাজার ৭৫৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।অন্যদিকে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প-১ ও মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল-ফায়ারড পাওয়ার প্রজেক্ট-৫ প্রকল্পে ৮৪ কোটি ডলার ঋণ দেবে জাপান। এ ঋণচুক্তি বাংলাদেশেই অনুষ্ঠিত হবে।